ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দফতরে হাজির হয়েছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এর আগে রেশন দুর্নীতি মামলায় তদন্তের জন্য অভিনেত্রীকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেই তলবে সাড়া না দিলেও বুধবার তিনি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে এসে হাজির হন । দুপুর ১টা নাগাদ আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে ঢুকে যান সিজিও কমপ্লেক্সের ভেতরে।
বুধবার অভিনেত্রীর আসার অনেক আগেই তার হিসাবরক্ষক কাগজপত্র নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিজিওতে। অভিনেত্রীও যে ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে সিজিওতে আসছেন, তা জানা গিয়েছিল তখনই। তিনি আসার পর তাকে সাংবাদিকেরা ঘিরে ধরে নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে অভিনেত্রী বলেন, ‘আগে যাই...’
রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্তের সঙ্গে ঋতুপর্ণার আর্থিক লেনদেনের তথ্য তদন্তকারীরা হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন এক ইডি কর্মকর্তা। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে সবিস্তারে কিছু জানায়নি ইডি।
ওই সূত্রে আরও জানা যায়, ওই অভিযুক্তের সঙ্গে প্রায় কোটির অঙ্কে আর্থিক লেনদেন হয়েছে একটি সংস্থার, যার প্রোপ্রাইটর হিসাবে নাম রয়েছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার। সেই লেনদেন সম্পর্কে জানতেই ঋতুপর্ণাকে তলব করে ইডি।
বুধবার ঋতুপর্ণার হিসাবরক্ষক জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রীর কাছে যে সব হিসাব চেয়েছিল ইডি, তা তিনি, অর্থাৎ হিসাবরক্ষকই দেখাশোনা করেন। তাই হিসাব বুঝিয়ে দিতে সুবিধা হবে বলে তিনি এসেছেন।
এর আগে গত ৫ জুন রেশন দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনেত্রীকে ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল। যদিও সে দিন ঋতুপর্ণা সিজিওতে হাজিরা দেননি।
ওই সূত্রে জানা যায়, বিদেশে থাকার কারণে ইডি দফতরে যেতে পারেননি অভিনেত্রী। এ কথা তিনি ইডি আধিকারিকদের ইমেইল করে জানিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, তার পরে তাকে আবার ইডি দফতরে যেতে বলা হয়েছিল।
তাই বুধবার তার প্রতিনিধি ইডির দফতরে পৌঁছানোর পরেই অভিনেত্রীর সেখানে যাওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। পরে তার হিসাবরক্ষক বলেন, ‘উনি নিজে যেহেতু হিসাবের বিষয়টি দেখেন না, তাই আমি এ ব্যাপারে সাহায্য করতে এসেছি।’