ঢাকাই চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মামলা-হামলা নিপুণ শিখিয়েছেন। এটা দুঃখজনক। অবশেষে এমন মন্তব্য করেন জনপ্রিয় খলনায়ক মিশা সওদাগর।
নিপুণ নানারকম মন্তব্য করেছেন- সেই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, কেউ কাউকে ছোট করে বড় হতে পারে না। সম্মান দিতে হয়। কাউকে অপমান করে সম্মানিত হওয়া যায় না।
মিশা সওদাগর বলেছেন, একটা সত্যি কথা বলি। ছটকু আহমেদকে আমি ফিল্মের ফাদার বলি। তিনি আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন। নিপুণকে ফিল্মে এনেছেন ডিপজল। গণ্যমাধ্যমের সামনে কিন্তু ডিপজল বলেছেন, ‘নিপুণ আমার মেয়ের মতো’। অথচ তার সম্পর্কে কী রকম মন্তব্য করছেন।
অভিমানের সুরে এই অভিনেতা বলেন, অশিক্ষিত, সন্ত্রাসী এসবও বলেছেন। শিল্পী হয়ে এসব বলা মানায়? নিপুণের ভেতরে শিক্ষা থাকলে একজন শিল্পীকে অশিক্ষিত বলতে পারতেন না। নিপুণের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। ভুল বুঝতে পারুক।
নিপুণের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন? জানতে চাইলে মিশা বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে আমি নিপুণের সঙ্গে এক কাপ চা-ও খাইনি। যতটুকু সম্পর্ক শিল্পী হিসেবে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর নিপুণ ফুলের মালা পরিয়ে দিয়েছেন। সব গণমাধ্যম তা প্রচার করেছে। মৌখিকভাবেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তারপর এখন কেন এসব করছেন জানি না।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে গেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। মিশা-ডিপজল প্যানেল জয়ী হওয়ার পর তাদের ফুলের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। দুদিন আগে সেই নির্বাচন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন নিপুণ। তারপর থেকেই চলচ্চিত্রপাড়ায় শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। চলছে পাল্টা-পাল্টি নেতিবাচক মন্তব্য।
এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর।
মিশা সওদাগর বলেন, প্রত্যেক শিল্পীর সহনশীল হওয়া দরকার। আমরা চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে একই পরিবারের। কলিগ হিসেবে তার সংযত হওয়া দরকার।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনকালীন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। মিশা সওদাগর বলেন, নিপুণ এখন বলছেন, সেই নির্বাচন কমিশনও ঠিকমতো কাজ করেনি। আপিল বোর্ড নিয়েও তিনি কথা বলছেন। তাহলে বিষয়টি সাংঘর্ষিক হয়ে গেল না?
তিনি বলেন, আমরা জয়ী হওয়ার পর নিপুণ বলেছিলেন, মিলেমিশে আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। এখন এসব কী করছেন? কী বলছেন?
মিশা বলেন, আপিল বোর্ডও নিপুণ গঠন করেছেন। আমাদের শিল্পী সমিতির কিন্তু কিছু বিধান আছে, সংবিধানও আছে। সেই সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করেছেন তিনি।