পিকআপভ্যানে রোদে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গরুর ছবিকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মুখে পড়েন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা।
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে ভাবনা লেখেন- ‘আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে?’
এরপরই নেটিজেনদের কড়া সমালোচনা শুনতে হয়েছে ভাবনাকে। অকাথ্য ভাষায় গালাগাল করতেও ছাড়েননি তারা।
আরেক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেই ছবি প্রসঙ্গে ভাবনা লিখেছেন- একজন পশুপ্রেমী হিসেবেই তার সেই ছবিটি শেয়ার করা।
ভাবনা বলেন, আমি মাঝে মধ্যেই ছবি তুলতে পছন্দ করি। যখন কোনো দৃশ্য আমাকে ভাবতে বাধ্য করে, সেটা মাঝে মাঝে ফেসবুকেও শেয়ার করি। আমার একটি ছবি, যেখানে একটি পিকআপভ্যানে রোদে দাঁড়িয়ে একটি গরু, তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি। সেদিন ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ, গরমে দীর্ঘ সময় থাকার ফলে অবলা প্রাণীটি কাঁদছিল। বোবা প্রাণের কান্না আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। ছবি তুলে আমার অনুভূতি প্রকাশ করি আমি।
ছবির ক্যাপশন দিয়েছি- ‘আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে?’ ব্যাস এতটুকুই!
বিষয়টি উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, তারপর কিছু মানুষ শুরু করলেন আমাকে হেয় করা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখতে শুরু করলেন- ‘আমি চামড়ার ব্যবসায়ী!’, ‘আমি নিজে একটা গাভি!’, ‘আমাকে লাথি মারতে মারতে ইন্ডিয়া পাঠানো উচিত!’ আরও কত নোংরা নোংরা কথা!
ভাবনার মতে, তিনি কেবল অবলা প্রাণীর প্রতি মায়া থেকে কথাটি বলেছেন। এখানে কোনো বিদ্বেষ কিংবা গরুর মাংস খাওয়ার বিরোধিতা করেননি।
তিনি বলেন, আমি কোথাও লিখিনি গরুর মাংস খাই না, বা বলিনি আপনারা গরুর মাংস খাবেন না। একটা প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন এটাই স্বাভাবিক। আর আমি প্রকৃতিপ্রেমী বা প্রাণীপ্রেমী কি না সেটার প্রমাণ আমি কোথাও দেব না। আমার ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর প্রমাণ হবে না আমি কে?
সবশেষে খানিকটা অভিমান প্রকাশ করে ভাবনা বললেন, অবশ্যই এ ছবিটি নিয়ে আমি আরও লিখব, হয়তো কোন কবিতায় বা গল্পে বা অন্য কোথাও অথবা আমার পরবর্তী ক্যানভাসে। শিল্পীর বেদনা গুরুত্বপূর্ণ, ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমার দিকে ছুড়ে দেওয়া সব তীর আমি সাদরে গ্রহণ করলাম।
ভাবনার এই পোস্টে অনেকেই অভিনেত্রীর প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন। তার সেই ছবির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন।