মেট গালার জন্য আলিয়া ভাটের গর্জিয়াস ট্র্যাডিশনাল লুক নিঃসন্দেহে আউট অব দ্য বক্স। অভিনেত্রী প্রথমে একটি ছবি ভাগ করে নিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, যা সিলুয়েট বৈশিষ্ট্যযুক্ত। তার লুকের একটা ঝলক মিলেছিল তখনই।
আর তারপর যখন আলিয়া নিউইয়র্কের তারকাখচিত সেই রেড কার্পেটে পৌঁছান, তখন ইন্টারনেট তার থেকে পারেনি চোখ সরাতে। ফ্যাশনের সবচেয়ে বড় রাতের জন্য ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের হাতে তৈরি এমব্রয়ডারি করা শাড়ি বেছে নিয়েছেন তিনি। যার আঁচল ২৩ ফুট লম্বা। ঠিক যেন কোনো মিষ্টি পরী!
মেট গালায় এটা ছিল আলিয়ার দ্বিতীয় উপস্থিতি। ২০২৩ সালে মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টের আইকনিক সিঁড়িতে প্রথমবার পা রাখেন। তবে এই প্রথম এলেন তিনি শাড়িতে। আনাইতা শ্রফ আদজানিয়া স্টাইল করা সব্যসাচীর তৈরি করা এই শাড়িতে রয়েছে ২৩ ফুট লম্বা এমব্রয়ডারি করা একটি আঁচল, যা তৈরি করতে সময় লেগেছে ১৯৬৫ ঘণ্টা। এতে সিল্ক ফ্লস, গ্লাস বিডিং এবং রত্নপাথর দিয়ে কারুকার্য করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ হাতে তৈরি। সঙ্গে রয়েছে গোলাপি এবং সবুজ রঙের ফুল, পুঁতির ট্যাসেল। এগুলোও কিন্তু হাতেরই কাজ। এই শাড়ির অন্যতম আরেক আকর্ষণ হলো সামনের দিকে থাকা রাফলড প্লিট।
আলিয়া শাড়িটি পরেছিলেন একটি বাস্টিয়ার ব্লাউজের সঙ্গে। যাতে রয়েছে প্লাঞ্জিং সুইটহার্ট নেকলাইন, রাফলড হাতা। ব্লাউজেও রয়েছে সূক্ষ্ম হাতের কাজ। সেখানেও স্টোনের কাজ লক্ষণীয়। গহনা হিসেবে সব্যসাচী বেছে নেন একটি মাং টিকা। মাথায় ছিল একটি ব্যান্ড, স্টেটমেন্ট কানের দুল, হাই হিল ও আংটি।
মেকআপেও ছিল বিশেষত্ব। আলিয়ার চোখে সোনালি রঙের স্যাজো, গালে রুজ, ফুশিয়া গোলাপি ঠোঁট, বিমিং হাইলাইটার, মাস্কারা। আর সাজের ফাইনাল টাচ ছিল মেসি হেয়ার। সব মিলিয়ে যেন স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা তিনি। রাহা-র মা, রণবীর কাপুরের বউের সৌন্দর্যের কাছে হার মানেন একাধিক হলি-তারকাও।