আমি একটু স্টুপিড তো, গাধামার্কা—তাই বুঝতে বুঝতে সময় লেগেছে: সানী
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০৬:৪৭ পিএম
ওমর সানী ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবি। এই অভিনেতা ১৯৬৯ সালের ৬ মে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের উৎসাহ আর বাবার অনুপ্রেরণায় রুপালি দুনিয়ায় পথচলা শুরু হয় তার। আজ এই অভিনেতার জন্মদিন।
শুভ জন্মদিনে জীবনের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ঝুলি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন এক সময়ের দাপুটে এই নায়ক। এক সময় জন্মদিনকে জমকালো আয়োজনে উদযাপন করলেও এখন তা করছেন না। না করার কারণও জানিয়েছেন ওমর সানী। তাছাড়া বিয়ের পর থেকে এই প্রথমবারের মতো স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে ছাড়া জন্মদিন পার করছেন ওমর সানী।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার সুমনকে নিয়ে মুখ খুললেন পিয়া জান্নাতুল
বিয়ের পর এবারই কি প্রথম জন্মদিন যে আপনার স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমী পাশে নেই? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওমর সানী বলেন, একদমই তাই। তাই খালি খালি লাগছে। তবে আমার জন্মদিন তো সেদিন থেকেই খালি খালি হয়ে যায়, যেদিন আমার আম্মা মারা যান। ২০০০ সালের এই মাসের ২৩ তারিখেই আম্মা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। এরপর থেকে এই দিনে ভাষাহীন থাকি। কিছুই ভালো লাগে না। বিবর্ণ থাকি। আমি চাইও না দিনটা উদ্যাপনের। এরপর আর তেমনভাবে কখনো হয়নি। আমি পণ করেছি, যত দিন বাঁচি আর দাওয়াতের ধারেকাছেও যাব না। নিজেও কাউকে অযথা দাওয়াত দেব না।
কেন সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এই নায়ক বলেন, মান্না ভাইয়ের কথাটাই সঠিক। ফিল্মের মানুষ কোনো দিন আপন হয় না। এটা উপলব্ধি হতে হতে আমার একটু সময় লেগে গেছে তো, তাই আমি চাই না। চার-পাঁচ বছর আগে মান্না ভাইয়ের কথাটা আমাকে ভালোই নাড়া দেয়। কিন্তু আমি একটু স্টুপিড তো, গাধামার্কা—তাই বুঝতে বুঝতে সময় লেগে গেছে বেশি। এখন এই কথা আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করছি। আমাকে অবশ্য মৌসুমী অনেক আগে থেকেই বলছে- ‘খামাখাই এসব করো। মনে রেখো, কেউ কারও না।’ এসব করে সত্যি বলতে কোনো লাভ নেই, এখন বুঝছি। প্রচুর টাকা ব্যয় করেছি। আমি আর চাইও না কেউ আমাকে দাওয়াত দিক। আসলে যতই এদিক-সেদিক থাকি না কেন, দিন শেষে পরিবারই সবচেয়ে বেশি আপন। তাই পরিবারে মগ্ন আছি। এর বাইরেও আরেকটা পণ করেছি।
কী সেই পণ? জবাবে ওমর সানী বলেন, ঢাকায় না থাকার পণ। ঢাকাতে এখন সেভাবে এমনিও থাকি না। বসুন্ধরায় যদিও বাসা আছে, তারপর থাকা হয় না বেশি সময়। আমি একটু লোকালয়ে চলে যেতে চাই। এখন গ্রাম বেশি টানে। ঢাকায় যানজটে থাকতে থাকতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।
এদিকে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমীর প্রেমে জড়ান এই অভিনেতা। এরপর ১৯৯৬ সালে বিয়ে করেন তারা। এখন শোবিজের অন্যতম সফল জুটি তারা। এই দম্পতির সংসারে এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তান রয়েছেন। বর্তমানে মৌসুমী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।