সম্প্রতি অস্কার জয়ী ভারতীয় সুরকার এ আর রহমানের মুম্বাইয়ের স্টুডিওতে গান রেকর্ড করেছেন আসিফ আকবর।
গান রেকর্ডের পর ভারত ও বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির পার্থক্য তুলে ধরে ফেসবুকে এক পোস্টে আসিফ লিখেছেন- ‘মুম্বাই এসেছি কিছু রেকর্ডিংয়ের কাজে। গতকাল দুটো গানের ভয়েস দিলাম শ্রদ্ধেয় এ আর রহমান স্যারের স্টুডিওতে। কমপক্ষে পনেরো হাজার স্কয়ার ফিটের সুবিশাল স্টুডিও। ভিতরে ঢুকেই মনটা ভালো হয়ে গেল, কী চমৎকার পরিবেশ।’
২০০১ সালে পেশাদার সংগীত জীবন শুরু করা আসিফ লেখেন- ‘যারা উনার কাছে মিউজিক ক্লাস করেন, তাদের জন্য ছাদে শেড দেওয়া সুন্দর খোলামেলা স্কুল। উনার ব্যক্তিগত স্টুডিওতে গাওয়ার অনুমতি পেয়েছি, এটা পরম সৌভাগ্য আমার জন্য। ভয়েস রুমের টেম্পারেচার কেমন হওয়া উচিত সেটার অভিজ্ঞতাও পেলাম।’
তিনি লেখেন- ‘বাংলাদেশে পেশাদার রেকর্ডিং স্টুডিওগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে তৈরি হয়েছে সুউচ্চ বিল্ডিং। বাসাবাড়িতে বা ছোট খুপরির মতো সব স্টুডিও বানিয়ে মাটি কামড়ে মিউজিক করছে মিউজিশিয়ানরা।’
আসিফ লেখেন- ‘রাষ্ট্রীয় কিছু উদ্যোগ থাকলেও চামচিকা আর উলু খেয়ে ফেলে সব। সমিতি আর নির্বাচনী কাবাডি খেলা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। আস্তে আস্তে ক্ষয়ে গেছে সব প্রতিষ্ঠান। আমারও খুব একটা কিছু করার সক্ষমতা নেই। বিভক্তি বিভাজনের করাল গ্রাসে কোমায় চলে গেছে ইন্ডাস্ট্রি। সংগীতকে ভালবেসে ফেলেছি, তাই টিকে থাকার সংগ্রামে আছি।’
শিল্পী বলেন, ‘বয়সও বেড়েছে, হৈ চৈ করতে আর ভালও লাগে না। শৌখিন এবং মৌসুমি প্রযোজকদের সাথে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি, মান নিয়ন্ত্রণ করতেই হচ্ছে। রাষ্ট্র- প্লিজ একটা কিছু করুন। মিউজিক এবং মিউজিশিয়ানদের বাঁচান…ভালোবাসা অবিরাম…।’