‘রূপান্তর’ নাটককে কেন্দ্র করে নোয়াখালীতে ছোট পর্দার অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান ও অভিনেত্রী সামিরা খান মাহিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলী আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসাইনের নিকট এ মামলার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাউসার উল জিহাদ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ভিত্তিক ‘রূপান্তর’ নাটক নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। যে নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান ও অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি।
ইউটিউবে নাটকটি প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। অসংখ্য পোস্ট ও লক্ষাধিক প্রতিক্রিয়া আসে নাটকটির বিরুদ্ধে। তীব্র সমালোচনার মুখে নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাউসার উল জিহাদ নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে নোয়াখালী জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলী আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসাইনের নিকট মামলার আবেদন করেন।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট কাউসার উল জিহাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত এ নাটকটিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ ইস্যুকে প্রমোট করা হয়েছে। তাই আমি স্বেচ্ছায় মামলার আবেদন করেছি। আশা করি, বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিবেন।’
নোয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. শাহ আলম বলেন, মামলার আবেদন করা হয়েছে সত্য। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি। আবেদন দেখে বিজ্ঞ বিচারক সিদ্ধান্ত নিবেন এবং নির্দেশনা প্রদান করবেন।
গত মঙ্গলবার ইউটিউব চ্যানেল একান্ন মিডিয়া থেকে নাটকটি সরিয়ে ফেলার পর নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু। তিনি বলেন, দর্শকরা নাটকটির কনসেপ্ট হয়তো বোঝেনি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক কিছুই দেখছি, আমি নতুন কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
অভিনেতা জোভান বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, নাটকটি নিয়ে কেন এমন সমালোচনা করা হচ্ছে। নাটকটির ভিউ হয়েছিল নব্বই হাজার। তাহলে বাকি মানুষ তো দেখেনি! আমার মনে হয়, তারা না দেখেই সমালোচনা করছে। বিষয়টি নিয়ে আমি ঘোরের মধ্যে আছি। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু মানুষ পছন্দ করছে না সেহেতু এসব আর করা যাবে না। এরপর থেকে এগুলো আর করব না।’