Logo
Logo
×

বিনোদন

বাপ্পি লাহিড়ীর ব্যবহার করা সোনার গয়না এখন কার কাছে?

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম

বাপ্পি লাহিড়ীর ব্যবহার করা সোনার গয়না এখন কার কাছে?

ভারতের ‘গোল্ড ম্যান’ খ্যাত বাপ্পি লাহিড়ী গানের পাশাপাশি জনপ্রিয় ছিলেন তার ফ্যাশনের জন্য। হাতে চওড়া ব্রেসলেট, গলায় নানান মাপের সোনার গহনা পরে থাকতেন তিনি। বাপ্পির গলায় হরেক রকমের সোনার গহনা দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন মাইকেল জ্যাকসনও। তিনি পরতেন রঙিন সানগ্লাস।

সোনার গহনা পরার কারণ নিজেই একবার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। তিনি বলেছিলেন, ‘গোল্ড ইজ মাই গড!’ জানিয়েছিলেন, সোনা তার লাকি চার্ম। আমেরিকান রকস্টার এলভিস প্রেসলির থেকেই তিনি উৎসাহ পেয়েছিলেন এই ব্যাপারে। জানিয়েছিলেন, আমি ছিলাম প্রেসলির বড় ভক্ত। আমি ভাবতাম, যদি কখনো সাফল্য পাই, তাহলে আমি নিজের ইমেজ আলাদাভাবে তৈরি করব। ভগবানের আশীর্বাদে আমি সোনা দিয়ে তা করতে পেরেছি। অনেক লোকই ভাবেন আমি দেখানোর জন্য সোনার গহনা পরি; কিন্তু তা সত্যি নয়। 

৮০-এর দশকে হিন্দি ছবির গান বদলে দিয়েছিলেন এই বাঙালি সঙ্গীত পরিচালক। পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘ডিস্কো কিং’ নামে। তার নাম অলোকেশ লাহিড়ী, যদিও বিশ্ব তাকে চেনে বাপ্পি লাহিড়ী নামে। ২০২২ সালে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল বাপ্পি লাহিড়ীর। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সেই সব গহনার কী হয়েছে? কোথায় রাখা আছে? বদলে গিয়েছে কি মালিকানা? 

ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, ২০১৪ সালেই এক এফিডেভিট করে গিয়েছিলেন কিংবদন্তি গায়ক। সেখানে উল্লেখ ছিল তার কাছে মোট ৭৫৪ গ্রাম সোনা রয়েছে। যার বাজারমূল্য সেই সময় ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ৩৮ লাখ ৭১ হাজার ৭৯০ টাকা। লেখা ছিল, তার মৃত্যুর পর তার যাবতীয় অলঙ্কারের দায়িত্ব পাবেন ছেলে বাপ্পা ও মেয়ে রিমা। তার মৃত্যুর পর তার ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে সেই অলংকার গচ্ছিত রয়েছে রিমা ও বাপ্পার কাছেই। তবে তা সবটাই সযত্নে রাখা রয়েছে, বিক্রি করেননি দুই ছেলেমেয়ের কেউই। স্মৃতি হিসেবে তা গচ্ছিত রয়েছে পরিবারের কাছে।

১৯৫২ সালের ৭ নভেম্বর জলপাইগুড়ির ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম হয় বাপ্পি লাহিড়ীর। অপরেশ লাহিড়ী ও বিষ্ণু লাহিড়ীর সন্তান ছিলেন তিনি। অলকেশ লাহিড়ী পরে নিজের নাম রাখেন ‘বাপ্পি’। মাত্র ৩ বছর বয়সে তবলা বাজানো শুরু করেন তিনি। ১৯ বছর বয়সে দাদু নামে বাংলা চলচ্চিত্রে প্রথম কাজ করেন শিল্পী। মুম্বাই চলে আসেন মামার মতো বলিউডে কাজ করার ইচ্ছে নিয়ে। হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম কাজ ‘নানহা শিকারি’। ছবিতে গীতিকারের ভূমিকায় ছিলেন তিনি।

ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যায় ‘জখমি’ ছবি দিয়ে। এ সিনেমায় গীতিকারের পাশাপাশি প্লেব্যাকও করেন তিনি। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে ১২টি সুপার-হিট জুবিলি সিনেমার সুর দেন তিনি। যেটি একটি রেকর্ড।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম