অভিনয়ের পর এবার রাজনীতির ময়দানে কঙ্গনা রানাউত। কঙ্গনার মোদি ভক্তি কারও অজানা নয়। দীর্ঘদিন ধরেই গেরুয়া শিবিরের জয়গান শোনা গেছে বলিউড কুইনের মুখে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে নিজের জন্মস্থান, হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে লড়বেন কঙ্গনা রানাউত। কঙ্গনার রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে সরগরম নেটপাড়া। কঙ্গনাকে কুরুচিকর আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথ।
সুপ্রিয়ার ‘যৌনকর্মী’ মন্তব্যের পাল্টা জবাবও দেন অভিনেত্রী। তার পরেই ভাইরাল হয়, বছর কয়েক আগে কঙ্গনার দেওয়া এক সাক্ষাৎকার। যেখানে অভিনেত্রী তথা সেই সময় কংগ্রেসের মুখ উর্মিলা মাতন্ডকরকে ‘সফট পর্নোস্টার’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন কঙ্গনা। সেই নিয়ে সাফাই দিলেন অভিনেত্রী।
উর্মিলাকে নিয়ে নিজের পুরনো মন্তব্য প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, আমি কোনো কিছুকেই সমর্থন করছি না। এই অভিনেত্রীরা যদি তান্দুরি মুর্গি, আইটেম গার্ল, শিলা কি জওয়ানির মতো শব্দে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তবে কেন এটি (এই শব্দবন্ধকে) আপত্তিজনক হিসাবে দেখা হয়? আসল কথা— তারা যদি এতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, তা হলে আপনি কেন তাদের লজ্জা দিতে চান? ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় না ওকে (উর্মিলা মাতন্ডকর) লজ্জা দেওয়ার কোনো উদ্দেশ্য আমার ছিল না। কারণ ও ওই চরিত্রে খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
এ নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ফের বেফাঁস কঙ্গনা। এবার সানি লিওনের অতীত টেনে আনলেন তিনি। অভিনেত্রী আরও বলেন, ভারতে পর্নো তারকারা প্রচুর সম্মান পান।
কঙ্গনা হিন্দিতে বলেন, বলুন তো, 'সফট পর্নো' বা 'পর্নো স্টার' কি আপত্তিকর শব্দ? না! এগুলো আপত্তিকর শব্দ নয়। এটি এমন একটি শব্দ যা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। ভারতে পর্নো তারকারা যে পরিমাণ সম্মান পান, সানি লিওনকে জিজ্ঞেস করুন, বিশ্বের আর কোথাও তা হয় না।