অভিনয়ে তিন দশক ছুঁই ছুঁই করছে বলিউড অভিনেত্রী রানি মুখার্জির। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় নিয়ে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলেছেন। সম্প্রতি ৫৪তম IFFI-তে ‘ডেলিভারিং কম্পেলিং পারফরম্যান্স’-এর একটি মাস্টারক্লাস চলাকালীন হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচলিত ‘বয়সবাদ’ বিতর্ক নিয়ে কথা বলেন।
হিচকির ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যে একজন ৬০ বছর বয়সি চরিত্রে অভিনয় করেন রানি মুখার্জি। ৪৫ বছর বয়সি এই অভিনেত্রীকে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ সিনেমায় শেষবার দেখা গিয়েছে।
রানি মুখার্জি বলেন, যেভাবে আমার দর্শকরা আমাকে পছন্দ করেছেন, আমাকে গ্রহণ করেছেন, সেভাবেই কাজ করেছি। দর্শকই আসলে আমাকে এই বয়সবাদের বাধা ভাঙতে সাহায্য করেছে। আর আমি আমার দর্শকদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে আমি নিশ্চিতভাবে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত অভিনয় চালিয়ে যাব।
রানি বলেন, আমি মনে করি না একজন অভিনেতাকে বয়স দিয়ে বিচার করা উচিত। এটি শুধুমাত্র এ কারণে যে, দর্শক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তরুণদের পর্দায় দেখতে চান। তবে আপনাদের এই ভ্রান্ত জগতে না থাকা এবং এটা বিশ্বাস করাও গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি সর্বদাই তরুণ। আপনি মনের দিক থেকে তরুণ হতে পারেন; কিন্তু আপনার বয়সকে মেনে নেওয়া এবং আপনার বয়সের সঙ্গে মানানসই ভূমিকা গ্রহণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।
রানি বলেন, আমি আমার তৃতীয় ছবি কুছ কুছ হোতা হ্যায়তে একজন মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। তারা রাম পাম ছবিতে আমি দুই সন্তানের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। আমি সচেতনভাবে চেষ্টা করেছি চরিত্রের বয়স ফ্যাক্টরকে গুরুত্ব না দিয়ে যে চরিত্রে অভিনয় করছি, তার প্রতি সুবিচার করতে। যাতে দর্শকরা যখন আমাকে পর্দায় দেখছেন, তারা আমায় রানি মুখার্জিকে মনে না করেন।
রানি বলেন, আজ যদি আমাকে একজন কলেজছাত্রীর চরিত্রে অভিনয় করতে হয়, আমি তা করতে পারি। তবে চরিত্রটাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হবে। আপনার বয়স কত তা আপনার দর্শকদের কাছে যেন যুক্তিযুক্ত কারণ থাকে।