ফাইল ছবি
পরীমনি খুব ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছে। একটু বড় হয়ে বাবাকে হারিয়ে পিরোজপুরে তার নানা শামসুল হক গাজীর কাছে বড় হন। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর নানাই ছিলেন পরীমনির একমাত্র অবলম্বন। নানার প্রতি এই নায়িকার অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা সবার জানা।
সেই নানা বেশ কিছু দিন ধরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিছুটা সুস্থ হলে বাসায় নিয়ে আসতেন। কিন্তু এবার চিরদিনের জন্য পরীমনিকে ছেড়ে চলে গেলেন তার নানা।
আরও পড়ুন: নানাকে হারালেন পরীমনি
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান পরীর নানা শামসুল হক গাজী।
পরে পরীমনি তার নানা শামসুল হক গাজীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পিরোজপুরের ভাণ্ডরিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। সকাল ৯টার সময় তারা বরিশালে পৌঁছান।
জানা গেছে, ভাণ্ডারিয়ায় নানির কবরের পাশেই সমাহিত করা হবে নানা শামসুল হক গাজীকে।
এদিকে নানাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর থেকেই পরীমনি ভীষণ উদ্বিগ্ন ছিলেন। ছোটবেলায় মায়ের মৃত্যুর পর পরীমনির বাবাও মারা যান। এর পর থেকেই নানার কাছে বেড়ে উঠেন তিনি।
পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসে একসময় বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরু করেন পরীমনি। এ সময়েও তার একমাত্র অভিভাবক ছিলেন নানা।
কদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালে নানাকে নিয়ে পরীমনি বলেছিলেন, নানার এখন যে অবস্থা, কখন যে কী ঘটে যায়, বলা যায় না। আমি আসলে ভাবতেই পারছি না। নানা না থাকলে আমার যে কী হবে। কীভাবে থাকব আমি!’
মরদেহবাহী গাড়ির পেছনে আরেকটি গাড়িতে করে ভাণ্ডারিয়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িতে ছিলেন পরীমনি ও তার পরিবারের সদস্যরাও। এর বাইরে আছেন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীও।
চয়নিকা চৌধুরী বললেন, পরীমনি কী হারিয়েছে, তা শুধু সেই জানে। এই নানা তার জীবনের কী ছিল, তা আমরা দেখেছি। মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত হয়ে আছে পরীমনি। জানি না এই শোক সইবে কী করে পরী।