আপনি প্রথম তাই ছাড় দিলাম কিন্তু পরে আর না: তানজিন তিশা
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০২:৪২ পিএম
ফাইল ছবি
মধ্যরাতে ঘুমের ওষুধ সেবন করায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে। এ ঘটনা ঘটে বুধবার। হঠাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কেন্দ্র করে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। পরে সেখান থেকে রাজধানীর পান্থপথের বেসরকারি একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তিশাকে।
আরও পড়ুন: ডিপফেকের শিকার কাজলও, পোশাক বদলানোর ভিডিও ভাইরাল!
তিশার হাসপাতালে ভর্তির ইস্যু নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ উল্লেখ করে খবর প্রকাশ হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, ছোটপর্দার অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জটিলতার বিষয়।
তবে বৃহস্পতিবার বিকালে সুস্থ হয়ে হাসপাতালে থেকে বাসায় ফেরেন অভিনেত্রী।
হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। একই সঙ্গে নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করে ‘দেখে নেবেন’ বলেও জানান অভিনেত্রী তিশা।
একপর্যায়ে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেই উত্তর দিতে বাধ্য নই আমি। আপনি প্রথম এই প্রশ্ন করেছেন, তাই আপনাকে ছাড় দিলাম। এর পর কেউ সাহস করে আমাকে এই প্রশ্ন করলে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে― এটি আমি প্রমিজ করলাম। আপনি এই কথাটা অন্য সব সাংবাদিককে বলে দেন ভাইয়া।
এর পরই সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, নিউজ তো অনেক পরের কথা, আমি তো তখন উড়ায় ফেলব! বাট, এখানে মুখ দিয়েও কেউ যদি বলে বা আমি শুনতে পাই কারও নাম, তা হলে আমার পাওয়ার খাটিয়ে, এমনকি যতবড় পাওয়ার খাটানো যায়, সেই পাওয়ার খাটিয়ে আমি যা করার করব। আমি আপনাকে ডিরেক্টলি বলে দিচ্ছি ভাইয়া। কারণ এটি একজন মেয়ের জন্য খুবই সেনসেটিভ।
তিশা আরও বলেন, তাদের জীবনের অর্ধেক শেষ করার জন্য যা করার আমি করব, এ জন্য আমি একেবারেই প্রস্তুত। এটা যে কোনো মেয়ের জন্য খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। আর আমি এখনই মুশফিক আর ফারহানকে নিয়ে কোনো কথা বলব না।
এদিকে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি এবং উড়িয়ে দেওয়ার এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিনোদন সাংবাদিকদের মতে, তিশা একজন শিল্পী হয়ে সাংবাদিকদের এভাবে হুমকি দিতে পারেন না। অতিশিগগিরই এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।