অবরোধে পেছাল শিমু হত্যা মামলার সাক্ষ্য
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৬ পিএম
চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এসএম ফরহাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল আজ; কিন্তু এদিন বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ থাকায় আসামিদের আদালতে হাজির করেননি কারা কর্তৃপক্ষ। তাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের আদালত মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রনি মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এখন পর্যন্ত এ মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও এসএম ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এদিন দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় মিলছিল না। ওই রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরদিন ১৮ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এসএম ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। ২০ জানুয়ারি মামলার প্রধান দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম উভয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরবর্তীতে ১৮ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হাসান মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ২ আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গ্রহণ করেন।
স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার একটি বাসায় থাকতেন শিমু। ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরদিন (১৭ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।