Logo
Logo
×

বিনোদন

মাওলানা ভাসানীকে আমি ভেতরে ধারণ করেছি

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:১৪ এএম

মাওলানা ভাসানীকে আমি ভেতরে ধারণ করেছি

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ। এখনো অভিনয়ে দেখা যায় তাকে। তবে নিয়মিত নয়। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায়।

এতে মাওলানা ভাসানীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা। এ সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা এবং সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।  

সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

সবে সিনেমাটি মুক্তি পেল। মানুষ দেখছে, আরও অনেকেই দেখবেন। আশা করি সবার ভালো লাগবে। কারণ এটা একটা ঐতিহাসিক সিনেমা। বঙ্গবন্ধুর জীবনকাহিনী নিয়ে তৈরি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের কাছে একটি আবেগের নাম। এখানে এমন অনেক কিছুই আছে যা হয়তো এখনকার জেনারেশন জানে না। তাদের জন্য এ সিনেমাটি একটি বিশাল অভিজ্ঞতার সমান। সেসময়ের অনেক গল্প, অনেক বাস্তবতা এ সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে। তাই সবার উচিত এটি হলে গিয়ে দেখা এবং আমাদের সঙ্গে সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করা। কারণ সিনেমাটি দেখলেই একমাত্র দর্শক বুঝতে পারবে এ সিনেমার পেছনে কত পরিশ্রম, কষ্ট আর সময় দিয়েছে পুরো টিম।

এ সিনেমায় ‘মাওলানা ভাসানী’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন?

রাইসুল ইসলাম আসাদ: আমরা জানি, মাওলানা হামিদ খান ভাসানী ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক হিসাবে কত বড় মাপের মানুষ ছিলেন। তার চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তোলা নিঃসন্দেহে ভীষণ কঠিন। তবে আমি একজন অভিনেতা। পরিচালক যেভাবে চাইবেন আমি যেভাবেই কাজ করবো। তিনি যতটুকু যেভাবে দেখাতে চেয়েছেন আমি সেভাবেই করার চেষ্টা করেছি। বাকিটা দর্শক দেখে বলতে পারবে কেমন লেগেছে বা কতটুকু করতে পেরেছি। কিন্তু ছাত্রজীবনে আমি পল্টনে ভাসানী সাহেবের ভাষণ শুনেছি। তাকে সামনে থেকে দেখছি। তাই তার সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান আমার ছিল। সেটা আমাকে তার ভূমিকায় অভিনয় করতে সাহায্য করেছে। মোট কথা, এ চরিত্রে অভিনয় করার জন্য মাওলানা ভাসানীকে আমি ভেতরে ধারণ করেছি।

এ সিনেমায় কাজ করার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?

রাইসুল ইসলাম আসাদ: নির্মাণ সবসময়ই কঠিন। আমরা সেটাকে এখন সহজ বানিয়ে ফেলেছি। কিন্তু এত বড় স্কেলের একটা সিনেমা তৈরি তো মুখের কথা নয়। তার ওপর করোনা মহামারি আমাদের চ্যালেঞ্জ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। যে অংশগুলোর শুটিং দেশে করার কথা ছিল, তার সবই ভারতে করতে হয়েছে। দেশে বানানো সেটগুলো নতুন করে মুম্বাইতে বানাতে হয়েছে। আবার এর আগে কোনো বায়োপিকে বা বাস্তবের চরিত্রে আমি অভিনয় করিনি। তাই বাস্তবের একটা চরিত্র ফুটিয়ে তোলা, প্রস্থেটিক মেকআপ নেয়া, অনেক বড় একটা টিমের সঙ্গে তাল-মিল বজায় রাখা সব কিছুই ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল সবার জন্য।

শুরুতে সিনেমাটি নিয়ে কিছু সমালোচনাও হয়েছে। এ বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?

রাইসুল ইসলাম আসাদ: পৃথিবীতে কোনো বায়োপিকই মানুষের প্রথমে ভালো লাগেনি। এর পেছনে একটা বড় কারণ হল, সবাই তো নিজের মতো করে বায়োপিকের চরিত্রটাকে চিনেছে বা ধারণ করেছে। তাই যখন সেই মানুষকে নিয়ে সিনেমা হয়, তখন তারা বলেন যে এটা তো হয়নি। কিন্তু দেখার বিষয় এটা যে সত্য বা বাস্তব ঘটনাই সিনেমায় দেখানো হয়েছে কিনা। যদি সেটা হয়, তাহলে তো সিনেমায় বা নির্মাতার কোনো দোষ নেই। আর যেকোনো শিল্পের সমালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। যেমন অনেকে হয়তো বলবে যে অনেক কিছু এ সিনেমায় দেখানো হয়নি। একবার ভাবুন তো, যদি সব দেখানো হয় সিনেমার দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে একশো ঘণ্টা। তখন সেটা দেখার ধৈর্যও কারো হবে না।

নূসরাত অনন্যা

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম