‘দেশের কেউ ভাবেননি আমাকে নিয়ে সিনেমা বানানো যায়’
বিনোদন প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫০ পিএম
এ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া। নাটকেই বেশি অভিনয় করেন। সম্প্রতি কলকাতার সিনেমায় অভিনয়ের কথাও জানিয়েছেন। সিনেমা, বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
নিজের ব্যস্ততা নিয়ে নাদিয়া বলেন, অভিনয়শিল্পীর ব্যস্ততা তো অভিনয় ঘিরেই থাকে। খণ্ড নাটক, ধারাবাহিক, শর্টফিল্ম, বিজ্ঞাপন-এসব নিয়ে ব্যস্ত আছি। সম্প্রতি একটা বিজ্ঞাপনের শুটিং করেছি।
কলকাতার সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কলকাতার সিনেমা করছি শিবরাম শর্মার পরিচালনায়। এ সিনেমায় একটা সোশ্যাল মেসেজ আছে। বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। শিগগির আবার যাব কলকাতায় বাকি কাজ শেষ করতে। শুরুতে সিনেমাটি চলতি বছর মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু এখন সেটা সামনের বছর মুক্তি পাবে বলে জেনেছি।
প্রথম সিনেমা দেশে না হয়ে কলকাতায় কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, দেশের কেউ হয় তো ভাবেননি যে, আমাকে নিয়ে সিনেমা বানানো যায়। তাই দেশের আগে বাইরে কাজ করতে হচ্ছে। তবে কলকাতার কাজের পরিবেশ আর দেশের কাজের পরিবেশ অনেক ভিন্ন। কলকাতার সবকিছু অনেক পরিকল্পনা মাফিক হয়। সেখানকার সব একদম যথাযথভাবে গোছানো থাকে। আর তারা অনেক যত্ন নিয়ে কাজ করে। এমনকি আর্টিস্টদেরও অনেক যত্ন নেয় ওরা। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এসব কমতি রয়েছে। সেই সঙ্গে বাজেট ইস্যু তো অন্যতম।
দেশের নাটক নিয়ে নাদিয়া বলেন, একটা সময় আমরা অনেক সুন্দর গল্প নিয়ে কাজ করতাম। এখন সেটা অনেক কমে গেছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি থেকে গল্প হারিয়ে গেছে। সংস্কৃতি হারিয়ে গেছে। এখন সবাই ভাইরাল হওয়ার জন্য কাজ করেন। তারা বোঝেন না, এসব কাজ কেউ মনে রাখে না। ক্ষণিকের জন্য মানুষকে বিনোদন দিয়ে কী লাভ? যদি কেউ আমার কাজ বা গল্পটা মনেই না রাখে, তাহলে শিল্পী হিসেবে আমার সার্থকতা কোথায়?
ওটিটিতে কাজের প্রস্তাব পাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব একটা না। ভিকি জাহেদের ‘রেডরাম’ করেছি। এরপর আর নতুন করে কিছু করা হয়নি। আসলে ওটিটির একটা সিন্ডিকেট আছে। ঘুরে ফিরে একই মানুষ নিয়ে কাজ করছে সবাই। তাই হয়তো আমার কাছে কাজের প্রস্তাব কম আসে।
অভিনয়ের পাশাপাশি আর কী করছেন-জানতে চাইলে অভিনেত্রী বলেন, ফ্যামিলি বিজনেস আছে। আমার মায়ের পার্লার আছে। সেখানে সময় দিই। সেগুলো নিয়েই এগোচ্ছি। যেহেতু আমি এখনো বিয়ে করিনি, তাই আমার সব মনোযোগ আমার বাবা-মায়ের ওপর দিতে পারছি। পাশাপাশি নিজেকে আরও সাবলম্বী করার চেষ্টা করছি।