বাদ্যের তালে তালে ভাংরা নাচতে নাচতে প্রবেশ করেছিলেন শিল্পা শেঠি। ‘সুখী’ সিনেমার ট্রেলার মুক্তি অনুষ্ঠানে অভিনেত্রীকে এমনই প্রাণবন্ত দেখা গেছে। ২২ সেপ্টেম্বর ‘সুখী’ বড়পর্দায় মুক্তি পাবে।
তার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘নিকম্মা’ সাড়া জাগাতে পারেনি। তবে শিল্পা আগামী ছবি ‘সুখী’ নিয়ে আশাবাদী। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের একটি মাল্টিপ্লেক্সে ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে শিল্পা ছবিটির বিষয়ে বিস্তারিত জানান সাংবাদিকদের।
সুখী সিনেমায় তাকে আটপৌরে ভারতীয় গৃহিণীর চরিত্রে দেখা যাবে। শিল্পাকে পর্দায় এমন এক নারীর চরিত্রে দেখা যাবে, যিনি তার রোজকার জীবন থেকে মুক্তি চান।
শিল্পা জানান, শুরুতে ছবিটি করতে চাননি। প্রস্তাব পাওয়ার আট মাস পর ‘সুখী’ ছবিটি করতে রাজি হয়েছিলেন শিল্পা।
শিল্পা বলেন, এই ছবির জন্য শিখা শর্মা ও বিক্রম মালহোত্রা আমার সঙ্গে যখন প্রথমবার যোগাযোগ করেছিলেন, তখন অন্য কাউকে নেওয়ার জন্য তাদের পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমি নিজেই তাদের চার-পাঁচজন অভিনেত্রীর নাম দিয়েছিলাম; কিন্তু শিখা ও বিক্রম নাছোড়বান্দা, আমাকে নিয়েই এ ছবি নির্মাণ করতে চান। তখন আমার মনের মধ্যে অন্য কিছু চলছিল। আমি এ ছবির জন্য বিন্দুমাত্র প্রস্তুত ছিলাম না।
তিনি বলেন, আমি কোথাও একটা গিয়েছিলাম, তখন আমার স্বামীর ফোন এসেছিল। সে ফোনে বলে- পাগল নাকি, এই ছবি ছেড়ে দিচ্ছ।
আসলে এ ছবির চিত্রনাট্য দীর্ঘদিন ধরে টেবিলে পড়েছিল। আমি যখন বাড়ির বাইরে ছিলাম, তখন রাজ চিত্রনাট্যটা পড়েছিল। তার এ ছবির কাহিনী দারুণ পছন্দ হয়েছিল। রাজের পরামর্শে ছবিটি করতে রাজি হয়েছিলাম।
সুখীতে নিজের অভিনীত চরিত্র নিয়ে শিল্পা বলেন, চরিত্রটা এমনই, যা আমি আমার ৩০ বছরের অভিনয় জীবনে করিনি। চরিত্রটি আমার হৃদয়ের অনেক কাছের বাস্তবঘেঁষা।
নবাগত পরিচালক শিখা শর্মার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিখার এটা প্রথম ছবি হতে পারে, তবে তার মধ্যে প্রতিভা আছে। শিখা বলেছিল, আমি চরিত্রটি দারুণভাবে তুলে ধরব বলে তার আস্থা আছে। শিখা অন্যসব অভিনেতার সঙ্গে আমাকে ওয়ার্কশপে রেখেছিল। তার এ বিষয় আমার খুব মনে ধরেছে। আমি ৩০ বছরের অভিনয় জীবনে এই প্রথম ছবির জন্য ওয়ার্কশপ করেছিলাম।