৪০ লাখের সঙ্গে আরও ৬০ লাখ দাবি
‘কমিটমেন্ট ঠিক না রাখলে এটা অন্যায়’, শাকিবকে নিয়ে নির্মাতা
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:০১ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
পারিশ্রমিক নির্ধারণের পর পরবর্তীতে আরও অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দাবি করার অভিযোগ ওঠেছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগ তুলেছেন ‘নীল দরিয়া’ সিনেমার পরিচালক বদিউল আলম।
এ পরিচালক অভিযোগ করে বলেন, ‘নীল দরিয়া’ সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল শাকিব খানের। শুরুতে এই সিনেমায় কাজের জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে ৪০ লাখ টাকা দেয়া হয় শাকিবকে।
আরও পড়ুন হিরো আলমের কাছে ৭ লাখ চাঁদা দাবি
গত ২০ জুলাই থেকে শুটিং শিডিউল ছিল। শুটিং শুরু হওয়ার আগেই ফাইট ডিরেক্টর আরমান ও চিত্রগ্রাহক মজনুকে নিয়ে কক্সবাজারের জেলে পল্লিতে লোকেশন দেখে আসেন নির্মাতা।
পরিচালক বদিউল আলম তখন শুটিংয়ের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিলেও ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার জন্য শুটিং পিছিয়ে যায়।
গত ঈদ ঈদুল আজহায় মুক্তি পায় প্রিয়তমা। সিনেমাটি হিট হওয়ার পর নিজের পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দেন ঢালিউড তারকা।
জানা গেছে, কয়েক মাস আগেও তার পারিশ্রমিক ছিল ৩৫ থেকে ৫০ লাখ টাকার মধ্যে। কিন্তু প্রিয়তমা সিনেমা মুক্তির পর পারিশ্রমিক ১ কোটি টাকা চাইছেন শাকিব খান। আর এ কারণেই আটকে যায় ‘নীল দরিয়া’ সিনেমা।
এ বিষয়ে বদিউল আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখন শাকিব খানকে দিয়ে ‘নীল দরিয়া’ সিনেমা করতে হলে ৪০ লাখ টাকার সঙ্গে আরও ৬০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। পারিশ্রমিক হিসেবে নেয়া ৪০ লাখ টাকা প্রযোজককে ফেরত দিয়েছেন সে।
বদিউল আলম বলেন, শাকিব খানকে আমরা টাকা দেয়ার সময় তার পারিশ্রমিক ছিল ৩৫ থেকে ৫০ লাখ টাকার মধ্যে। আমরা ৪০ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। শুটিংয়ের জন্য ২০ জুলাই থেকে শিডিউল দিয়েছিলেন। সেভাবেই সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পর হঠাৎ করেই সে জানায়, ঈদুল আজহার জন্য ‘প্রিয়তমা’ করে তারপর ‘নীল দরিয়া’ করবেন। আমিও মেনে নেই। ঈদে ‘প্রিয়তমা’ হিট হয়। আর শাকিব খানও মত পাল্টায়, পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, আগের নির্ধারণ করা পারিশ্রমিকে এখন আর কাজ করতে চাইছেন না শাকিব খান। তাকে নিয়ে এখন কাজ করতে হলে ৪০ লাখের সঙ্গে আরও ৬০ লাখ টাকা দিতে হবে। মোট এক কোটি টাকা। কিন্তু আমরা তার সঙ্গে কথা চূড়ান্ত করার সময় যে পারিশ্রমিক ছিল, সেটি দিয়েই চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
আফসোস করে এ পরিচালক বলেন, এখন নতুন কোনো সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হতে এক কোটি বা দুই কোটি টাকা সে নিতেই পারেন। এটি একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আমরা তো তাকে আগের পারিশ্রমিকে চূড়ান্ত করেছি। এখন সে আমাদের কাছে এটা দাবি করতে পারেন না। তার নৈতিকতার মধ্যে এটি পড়ে না। কমিটমেন্ট ঠিক না থাকলে হবে না তো। এটা খুব অন্যায়।