‘অভিনয় জীবনে কোনো কিছুই পরিকল্পনা করে শুরু করিনি’
নূসরাত অনন্যা
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৩, ১০:২২ এএম
ফাইল ছবি
ক্যারিয়ারে প্রায় দুই যুগ পার করে ফেলেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। কাজ করেছেন নাটক ও সিনেমায়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির কথা জানিয়েছেন এক সাক্ষাৎকারে। লিখেছেন নূসরাত অনন্যা
দেশের নাট্য জগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। ক্যামেরার সামনে প্রথম দাঁড়িয়েছেন ১৯৯৯ সালে। সেই থেকে কেটে গেছে দুই যুগ। এই দীর্ঘ সময় ক্যারিয়ারে যুক্ত হয়েছে নানা সাফল্যের পালক। তার অভিনীত প্রথম নাটক ‘অতিথি’। যদিও তার ব্যাপক পরিচিত ঘটে ২০০৪ সালে ‘ক্যারাম’ নাটকে নুসরাত ইমরোজ তিশার বিপরীতে অভিনয় করে।
এরপর থেকেই বিভিন্ন নাটক এবং মেগা-ধারাবাহিকে অভিনয় শুরু করেন এ অভিনেতা। তার অভিনীত প্রথম মেগা-ধারাবাহিক ‘৪২০’। এরপর বিভিন্ন জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ও টেলিফিল্মে নিজের প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছেন তিনি। নাটকের পাশাপাশি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম সিনেমা ‘জয়যাত্রা’।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পাঁচশর বেশি নাটক, প্রায় এক শতাধিক টিভি ধারাবাহিক এবং দশটির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ তারকা। কখনো পকেটমার, কখনো মধ্যবিত্ত, কখনোবা কমেডি কোনো চরিত্র, আবার কখনো হুমায়ূন আহমেদের ‘হিমু’ হয়েছেন তিনি। এ বৈচিত্র্যময় অভিনয় তাকে অভিনয় জগতের অধ্যবসায়ী অভিনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
কীভাবে অভিনয় এবং চরিত্র বাছাইয়ে এত বৈচিত্র্য এনেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিনয় জীবনের কোনো কিছুই আমি পরিকল্পনা করে শুরু করিনি। কোনো চরিত্র পছন্দ করার আগে হিসাব করিনি বা বিশেষ কোনো প্রস্তুতিও নেইনি। অভিনেতা হিসাবে আমার কাজ অভিনয় করা। আমি সব সময় সেটাই করেছি।’
নাটকের মতো সিনেমায়ও বৈচিত্র্য ধরে রেখেছেন মোশাররফ করিম। জিতেছেন সেরা কৌতুক অভিনয়শিল্পী হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
এখানেই শেষ নয়। নাটক এবং সিনেমার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্যও কাজ করছেন মোশাররফ করিম। তার অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘মহানগর’। আশফাক নিপুন পরিচালত এ সিরিজে ওসি হারুন চরিত্রে অভিনয় করে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন এ তারকা।
দুই যুগের ক্যারিয়ারে কোন চরিত্রটা তার সবচেয়ে পছন্দের জানতে চাইলে তিনি বলেন, `এভাবে নির্দিষ্ট কোনো একটার কথা বলতে পারব না। ‘৪২০’, ‘মুন্না’, ‘ঠুয়া’, ‘হিমু’, ‘ওসি হারুন’ সবকটিই ভালোলাগার চরিত্র। সবকটির জন্যই কষ্ট করেছি। প্রত্যেকটার সঙ্গে কিছু না কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে।'
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে এ অভিনেতা বলেন, ‘অপ্রাপ্তি বলতে কোনো কিছু নেই। যা পেয়েছি শুকরিয়া। সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি নির্মাতা ও দর্শকদের কাছেও কৃতজ্ঞ। সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মানুষের ভালোবাসা। এটা নিয়েই বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই।’