জলছবি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সিনেমা জগতে প্রবেশ ঢাকাই সিনেমার স্বর্ণালি দিনের নায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন তিনি। গতকাল ১৮ আগস্ট ছিল নায়ক ফারুকের জন্মদিন।
তবে জন্মদিন নিয়ে বরাবরই উদাসীন ছিলেন তিনি। জীবদ্দশায় তিনি কখনই নিজের জন্মদিন পালন করতেন না। এর কারণ হিসেবে তিনি জীবদ্দশায় বলেছিলেন— একটা সময় আমার জন্মদিন কেন্দ্র করে উৎসব হতো, হইচই হতো। অনেক আনন্দ করতাম। কিন্তু ১৯৭৫ সালে আমার নেতা নিহত হওয়ার পর সব আয়োজন বাদ দিয়েছি। আগস্ট মাস এলেই আমি মনমরা হয়ে যাই। আমার সব আনন্দে ভাটা পড়ে। নেতার জন্য মন কাঁদে। তাই আমি জন্মদিন পালন করতে চাই না, করিও না।
তবে স্ত্রী ও সন্তান ভালোবেসে কেক আনতেন। ওদের খুশি করার জন্য সামান্য সময় কেককাটার সময় থাকতাম। পরিবারের সদস্যরাও জানত আমি বেশি হইচই পছন্দ করি না। ভক্তরা কিংবা কাছের মানুষরা শুভেচ্ছা জানাতেন, তাদেরও স্মরণ করিয়ে দিতাম শোকের মাসে জন্মদিন বলে আমি দিনটি পালন করতে চাই না, ইচ্ছেও করে না।
নায়ক ফারুক প্রায় ১০০+ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার বেশিরভাগ সিনেমাই দর্শকদের হৃদয় জয় করতে পেরেছিল। নায়ক ফারুকের উল্লেখযোগ্য কিছু সুপারহিট সিনেমাগুলোর মধ্যে খান আতাউর রহমান পরিচালিত আবার তোরা মানুষ হ; আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত সারেং বৌ; প্রমোদ কর পরিচালিত সুজন সখী ও দিন যায় কথা থাকে; আমজাদ হোসেন পরিচালিত গোলাপী এখন ট্রেনে ও নয়নমনি; দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত পালকী; চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত পদ্মা মেঘনা যমুনা।
এ ছাড়া জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত জীবন সংসার; নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত আলোর মিছিল, সাহেব ও লাঠিয়াল; আব্দুস সামাদ পরিচালিত সূর্যগ্রহণ; তাহের চৌধুরী পরিচালিত মাটির মায়া; বেলাল আহমেদ পরিচালিত নাগরদোলা; শেখ নিয়ামত আলী পরিচালিত এতিমসহ আরও অনেক সিনেমা।
আরও পড়ুন: বক্স অফিসে রণবীর-আলিয়ার 'প্রেম কাহানি'র রেকর্ড
গত ১৫ মে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান নায়ক ফারুক। মৃত্যুর পর এটিই ছিল তার প্রথম জন্মদিন।