কিছুদিন আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার ১৮ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এই ব্যক্তির বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি নতুন ট্রেন্ড হচ্ছে, যেখানে অনেককেই প্রশ্ন করতে দেখা যায়, নারী আসলে কীসে আটকায়?
এমন প্রশ্নের উত্তরে এক একজন এক এক মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। বাদ পড়ছেন না শোবিজ অঙ্গনের তারকারা। তারাও তাদের নিজস্ব ভাবনাটুকু তুলে ধরছেন।
ঢাকাই সিনেমার বহুল আলোচিত চিত্রনায়িকা সুবাহ শাহ হুমায়রা। ব্যক্তিগত জীবন তিনি অনেক সমালোচিত। এই নায়িকা মনে করেন, মেয়েরা শুধু বিশ্বস্ততায় আটকায়। সুবাহ তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, ‘অনেক টাকাওয়ালা, গুণী, প্রতিষ্ঠিত মানুষকে ফেলে রেখে চলে যেতে দেখিছি অনেক বউ বা প্রেয়সীকে। কারণ নারী শুধু পুরুষের টাকায়, রূপে-গুণে আর ক্ষমতায় আটকায় না।’
নায়িকার ভাষ্য, ‘নারী সারা জীবনের জন্য বিশ্বস্ত ব্যক্তির কাছে আটকে যায়। যে তার বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে জানে। আবার অনেক সুন্দরী গুণী নারীকে দেখেছি কম টাকাওয়ালা মানুষের সঙ্গে ভাঙা ঘরে সুখে সংসার করতে। কারণ নারী সব পারে, কিন্তু ভালোবাসার মানুষের ভাগ দিতে পারে না। সম্মান আর বিশ্বাসে নারী আটকে থাকে তার বিশ্বস্ত পুরুষের সঙ্গে।’
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া মনে করেন,‘একটি মেয়ে সম্পর্ক থেকে শুধু ভালোবাসা, যত্ন এবং স্নেহ চায়। আর কিছু না।’
অভিনেত্রী সোহানা সাবার মতে, ‘ছেলে হোক আর মেয়ে শুধু শুধু কাউকে আটকানোর চেষ্টা করেন না। এসব খুব ক্ষ্যাত আলোচনা। যাকে ভালোবাসেন, তাকে শুধু নিঃস্বার্থের মতো ভালোবেসে যান, তাহলে সে সেই আরামের ঘর ছেড়ে আর কোথাও যাবে না।’
এর পরও যদি কোনো নারী চলে যান? এমন প্রশ্নে অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘তারপরও যদি সে চলে যায়, তাহলে বুঝে নেবেন সে কোনোদিন আপনার ছিলই না। তাকে খুব কষ্ট হলেও যত জলদি সম্ভব ভুলে যাওয়াটা ভালো। কারণ আপনার ‘রাইট পার্সন’ আপনার জীবনে প্রবেশ করার জন্যে ‘রাইট টাইম’ আর ‘ভ্যাকান্সি’-এর জন্য ওয়েট করছে বা সৃষ্টিকর্তা সেই পরিস্থিতিই তৈরি করে দিচ্ছেন।’