২০২১ সালে শুরু হওয়া কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি রুপি মানি লন্ডারিং ও চাঁদাবাজির মামলায় ফেঁসে রয়েছেন বলিউডের দুই সুন্দরী নোরা ফাতেহি এবং জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। নোরার অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও জ্যাকলিন মিথ্যা তথ্য বর্ণনা করেছেন। আর এ কথা আদালতকে জানিয়েছেন তিনি।

আদালতে দেওয়া নোরার এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের আইনজীবী প্রশান্ত পাটিল। তিনি বলেন, আমার ক্লায়েন্ট কারো বিরুদ্ধে জনসমক্ষে কোনো বিবৃতি দেননি। 

প্রশান্ত পাটিল বলেন, আমরা আদালত থেকে কোনো অফিসিয়াল কাগজ পাইনি। তাই আমরা এই ধরনের কোনো খবর নিশ্চিত করতে পারছি না। শুধু এটা বলতে পারি যে জ্যাকলিন কখনো ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট বা সোশ্যাল মিডিয়ার কারো বিরুদ্ধে কোনো বিবৃতি দেননি। তিনি মামলার বিষয়ে সর্বদা একটি মর্যাদাপূর্ণ নীরবতা বজায় রেখে চলেছেন। কারণ বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তবে তার মানে এই নয় যে, কেউ চাইলেই তাকে যে কোনো অযৌক্তিক আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে টেনে নিয়ে যেতে পারেন। এ বিষয়ে তিনি নির্দোষ।

মানি লন্ডারিং ও চাঁদাবাজির মামলায় নোরা ফাতেহি সোমবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজির হন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কপিল গোপ্তার সামনে তিনি তার বক্তব্য পেশ করেন। নোরা আদালতে জ্যাকলিন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। এ সময় তিনি বলেছেন, মিডিয়া আমাকে বলির পাঁঠা হিসেবে ব্যবহার করেছে।

পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজির হয়ে ফাতেহি বলেন, এ মানহানির মামলাটি জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ, অন্যান্য বিভিন্ন চ্যানেল এবং প্রকাশনার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে, যারা মিথ্যা বর্ণনার মাধ্যমে জনসাধারণের চোখে আমার খ্যাতি নষ্ট করেছে। তারা আমাকে ‘স্বর্ণ খননকারী’ বলে উল্লেখ করেছেন; অভিযোগ করা হয়েছে সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে।

সোমবার অভিনেত্রীর বয়ান রেকর্ডের পর তাকে আগামী সেপ্টেম্বরে আবারো ডাকা হয়েছে।