ওই দিন ‘সুড়ঙ্গ’ টিমকেও খাইয়েছিলেন ডিবির হারুন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৩, ০৬:৫৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আপ্যায়নের বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে সামনে এসেছে নতুন তথ্য।
ওই দিন তার কার্যালয়ে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার টিমকেও মধ্যাহ্নভোজ করিয়েছিলেন ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ; যা ফাঁস হয়েছে অভিনেতা ও সঞ্চালক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের পোস্ট করা একটি ভিডিও থেকে।
জয় বলেন, শনিবার দুপুরেই ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার নির্মাতা, প্রযোজক এবং অভিনয়শিল্পী (ঢাকার) ডিবি প্রধানের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন। আমি ওই সময়ের ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছি।
সেদিন হারুনের সঙ্গে খাবার খান ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি, ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, নির্মাতা রায়হান রাফী এবং অভিনেত্রী তমা মির্জা।
ভিডিওতে জয় প্রশ্ন করছেন- সুড়ঙ্গ টিমকে খাওয়াচ্ছেন কেন? উত্তরে হারুন অর রশিদ বলছেন, দেখেন- এটা তো লাঞ্চ টাইম। লাঞ্চ টাইমে কেউ এলে তাকে লাঞ্চের অফার করতে হয়। আমিও লাঞ্চ করব, এমন একটা সময়ে আসছেন, এটা আমার জন্য একটা সৌভাগ্যের বিষয়। আমি অফারটা করতে পেরেছি, তারা রাজি হয়েছেন এবং একসঙ্গে লাঞ্চ করব।
দুপুরে খাবার সময় কেউ এলে তাকে খাওয়ানো ‘দীর্ঘদিনের অভ্যাস’ জানিয়ে হারুন বলেন, লাঞ্চ টাইমে যদি কেউ আসে আমার অফিসে, এটা আমার দীর্ঘদিনের একটা প্র্যাকটিস, তাদের আমি লাঞ্চ অফার করি।
ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত আফরান নিশো ও তমা মির্জা অভিনীত সুড়ঙ্গ সিনেমা পাইরেসির অভিযোগ তুলে পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছিলেন এর নির্মাতা রাফী। পরে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
সেজন্য শনিবার মধ্যাহ্নভোজের সময় গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুনকে ধন্যবাদ জানান সিনেমার নির্মাতা ও প্রযোজক।
সেদিন ধোলাইখালে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধলে সেখান থেকে আটক করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে। গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে তাকে চার ঘণ্টা রেখে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ডিবি কার্যালয়ে গয়েশ্বরের মধ্যাহ্নভোজের ছবি ও ভিডিও পরে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ নিজে হাতে বেড়ে খাওয়াচ্ছেন গয়েশ্বরকে। টেবিলে সাজানো নানা খাবার ও ফল।
এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নানারকম আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর একদিন পর রোববার ঘটনাটিকে ‘নোংরা নাটক’, ‘নিম্নমানের মশকরা’ আখ্যায়িত করে ক্ষোভ ঝাড়েন গয়েশ্বর রায়।
পুরো ঘটনাটি সাজানো হয়েছিল দাবি করে তিনি বলেন, স্ক্রিপ্টটা কে লিখেছে, তা তো জানি না। আমি একেক সময় একেকটা অভিনয় করেছি আরকি বলা যায়, স্ক্রিপ্টের আওতায়।