Logo
Logo
×

বিনোদন

‘নায়ক বানানোর নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ’

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৩, ১১:২৪ পিএম

‘নায়ক বানানোর নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ’

প্রযোজক পীযুষ সাহা-অক্ষয় গুপ্ত। ছবি সংগৃহীত

হিরো বানানোর নামে ২০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠে টলিপাড়ার নামি প্রযোজক পীযুষ সাহার বিরুদ্ধে। ২০২২ সালের নভেম্বরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বীরভূমের বাসিন্দা অক্ষয় গুপ্ত। 

সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই চলতি বছরের মে মাসে গ্রেফতার করা হয় পীযুষ সাহাকে। বেশ কিছু দিন পুলিশি হেফাজতে ছিলেন পীযুষ সাহা। আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত। 

এবার গ্রেফতারির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ওঠা প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন প্রযোজক পীযুষ সাহা।

হিন্দুস্তান টাইমসকে পীযুষ সাহা বলেন, আমি চুরি করিনি বা ঘুসও নেইনি। অক্ষয় আমার অভিনয় ওয়ার্কশপের ছাত্র ছিল। আমার প্রযোজনায় হরি ঘোষের গোয়াল ছবিটা দেখে অক্ষয় ও তার মা এসে রীতিমতো আমার হাতেপায়ে ধরেছিলেন ছেলেকে হিরো বানানোর জন্য। আমি জানিয়ে দিই যে এত টাকা আমার নেই। আমি তাদের বলেছি আগে বহু মানুষকে সুযোগ দিয়েছি এখন আর পারব না। তখন অক্ষয় নিজেই আমায় জানায় সে ২০ লাখ টাকা দিতে রাজি আছে। আমি স্পষ্ট জানাই এই টাকায় ছবি হয় না। 

তিনি আরও বলেন, সেও নাছোড়বান্দা হওয়ায় আমি তাকে আশ্বাস দেই, এইকম আরও দুজন যদি টাকা দেয় তাহলে আমিও কিছু টাকা দিয়ে তিনজনের চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে একটা থ্রিলার বানাব। সেক্ষেত্রে অক্ষয়ও যৌথ প্রযোজনার অংশীদার হবে। লভ্যাংশের টাকা থেকে একটা ভাগ পাবে। সেই মর্মে আমাদের আইনি চুক্তিও হয়। 

তিনি আরও বলেন, সেখানে এটাও স্পষ্ট উল্লেখ ছিল যে অক্ষয় গুপ্ত আমাদের প্রোডাকশনের এক্সক্লুসিভ আর্টিস্টও সে এই মুহূর্তে অন্য কোনও ছবিতে কাজ করতে পারবে না। তারপর আমি স্ক্রিপ্ট রাইটার, মিউজিক ডিরেক্টর, ও টেকনিশিয়ানদের বুক করি। তারপরই লকডাউন হয়। দুই বছর কাজ স্থগিত ছিল।

পীযুষ সাহা আরও বলেন, ২০২২ সাল থেকে আবার কাজ শুরু হয়। ওকে মেইলে স্ক্রিপ্ট পাঠানো হয় এবং মেইল করেই অভিনয়ের জন্য ওয়ার্কশপে ডাকা হয়। ফোনেও ডাকা হয়। মাঝে আমরা জানতে পারি ও অন্য আরেকটি ছবিতে আমাদের না জানিয়েই কাজ করছে। ওকে ফোন করে জিজ্ঞেস করা হলে ও জানায় এই ছবিটা ও আর করতে চায় না। কারণ ও এখন বড় অভিনেতা, ওর দাদার রাধাকৃষ্ণ প্রোডাকশনে লিড হিরো হিসেবে অনন্যা গুহ ও রূপসা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করছে। 

তিনি বলেন, এদিকে আমিও সবাইকে অ্যাডভান্স টাকা দিয়ে দিয়েছি। চুক্তি অনুযায়ী ও আমার সহ-প্রযোজক। তাই ও লিখিতভাবে নো অবজেকশন জানিয়ে সরে না গেলে আমি একাও ছবিটার কাজে হাত দিতে পারছি না। তাই ওকে লিখিত ভাবে সরে যাওয়ার কথা বলা হয়। ও তাতে রাজি ছিল না। এরপরই হঠাৎ আমার নামে অভিযোগ দায়ের করে অক্ষয়।

এর আগেও অক্ষয় গুপ্তর অভিযোগ ছিল, পীযুষ সাহা নাকি তার থেকে প্রথমে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। যার মধ্যে ২০ লাখ টাকা তিনি দেন। পরে ছবিও হয়নি, টাকাও ফেরত পাননি। এমনকি তার মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ার পর তিনি সেটা পীযুষ সাহাকে জানানোর পরও টাকা পাননি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই তিনি মামলা করেছেন। 

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম