জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর। বছরব্যাপী দেশ-বিদেশে স্টেজ শো নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন। টিভি অনুষ্ঠানে দেখা যায় তাকে। নতুন গানও করছেন নিয়মিত। বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
* বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
** ‘লায়লা’ শিরোনামে একটি গান করেছি। গত সপ্তাহে এটি প্রকাশ হয়। এ গানের প্রতি দর্শক-শ্রোতাদের বেশ আগ্রহ দেখছি। নতুন কয়েকটি গানে শিগ্গির কণ্ঠ দেব। কিছু পুরোনো গান নতুন করে গাইবারও ইচ্ছা আছে। বিশেষ করে রুনা আন্টির (রুনা লায়লা) গান রিমেক করব। আশা করি সবার পছন্দ হবে। এছাড়া টিভি অনুষ্ঠান ও স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ততা তো আছেই।
* গানের কথা ও সংগীতায়োজন নিয়েও মাঝে মাঝে প্রশ্ন ওঠে। বিষয়টি লক্ষ করেন?
** গান করলে চমৎকার কথামালা দিয়ে সাজানো গান করতে হবে, যেন শ্রোতা-দর্শকদের হৃদয়ে দাগ কাটে। সুর ও সংগীতায়োজনেও যত্নবান হতে হবে সবার। তবে সমালোচনাও হয়, এটা লক্ষ করি। সবাই সচেতনভাবে কাজ করলে এমনটা হবে না। যত্ন নিয়ে কাজ করলে মানুষ গানের প্রতি আগ্রহ দেখাবেই।
* বহির্বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সংগীত ও শ্রোতাদের মধ্যে পার্থক্য কেমন দেখেন?
** অনেক পার্থক্য। বহির্বিশ্বের শিল্পীরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা পান। শ্রোতারা উৎসব করে একজন শিল্পীর গান শোনেন নিজেদের উদ্যোগে। শিল্পীরা তো অবশ্যই গান গাওয়া ও তৈরিতে যত্নবান। বিদেশের শিল্পীরা আর্থিকভাবেও সচ্ছল। তাদের মূল শক্তি শ্রোতা। শ্রোতারা অনেক দায়বদ্ধতা দেখায় তাদের প্রিয় শিল্পীর জন্য। আমাদের দেশেও এ দায়বোধ দেখা যায়, তবে এটি পরিমাণে কম। সব কিছু ইন্টারনেটনির্ভর হওয়ার ফলে যে যার মতো করে গান শুনছে। এতে শিল্পীদের কতটা উপকার হচ্ছে, এটাই প্রশ্ন।
* গানের ভিউ কী আপনাকে ভাবায়?
** একটি ভালো মিউজিক ভিডিওর ভিউয়ার্স থাকবেই। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি কিংবা হৈ-হুল্লোড় করার কিছু নেই। আমি এ নিয়ে ভাবি না। আমার গান যদি ভালো হয় মানুষ শুনবেন এবং আমাকে স্টেজে গাইতে অনুরোধ করবেন।