Logo
Logo
×

বিনোদন

৩৫ বছরের অভিমান ভুলে এক ছাদের নিচে রণধীর-ববিতা

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৩, ১১:১৪ এএম

৩৫ বছরের অভিমান ভুলে এক ছাদের নিচে রণধীর-ববিতা

বলিউড সেনসেশন কারিনা ও কারিশমা কাপুরের মা-বাবা ববিতা ও রণধীর কাপুর ৮০-র দশকের মাঝামাঝি থেকে আলাদা থাকছেন। এ নিয়ে সন্তানদের বুকে চাপা কষ্ট ছিল।

তাদেরকে অবাক করে দিয়ে অভিমান ভুলে এক হয়েছেন ববিতা ও রণধীর। সম্প্রতি রণধীরের বান্দ্রার নতুন বাড়িতে ব্যাগপত্র গুছিয়ে থাকতে চলে গেছেন ববিতা। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্থান টাইমসের।

এ খবরে কারিনা ও কারিশমার আনন্দ কে দেখে। বুড়ো বয়সে হলেও বাবা-মা একে অন্যের প্রতি খেয়াল রাখতে পারবেন।

বিয়ের ১৭ বছরের মাথায় দুই মেয়ে কারিনা আর কারিশমাকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ববিতা। চেম্বুরের আরকে বাংলো ছেড়ে থাকতে শুরু করেন লোখন্ডওয়ালার একটি ভাড়া বাড়িতে।

তারপর কেটে গেছে দীর্ঘ ৩৫ বছর। একে-অপরের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ দেননি কেউই। রণধীরের যেকোনো সমস্যায় পাশেও থেকেছেন ববিতা।

কাপুরদের বাড়ির বউ হিসেবে সব দায়িত্বও পালন করেছেন ববিতা। তবে একসঙ্গে থাকেননি এতদিন।

জানা গেছে, বান্দ্রার বাড়িতে গত সাত মাস ধরেই একসঙ্গে থাকছেন ববিতা-রণধীর। মাঝে ২০০৮ সাল নাগাদও শোনা গিয়েছিল বলিউডের এই দুই কিংবদন্তি জুটি একসঙ্গে থাকবেন। পরে রণধীর নিজেই জানান, আপাতত এরকম হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে রণধীর জানিয়েছিলেন, কী নিয়ে মূলত সমস্যা হয়েছিল তাদের মধ্যে। সেই সময় কারিনার বাবাকে বলতে শোনা যায়, ‘ওর কাছে আমি একজন ভয়ানক মানুষ ছিলাম।

যে রোজ মদ খায়। দেরি করে বাড়ি আসে। আর এসব ওর একেবারেই পছন্দ ছিল না। আমি ওর মতো করে থাকতে চাইনি, আর আমি যেমন ও সেটা মেনেও নিতে পারেনি।

ভালোবেসে বিয়ে করা সত্ত্বেও তাই আমরা আলাদা হয়ে যাই। দুই মেয়েকে ও খুব সুন্দর করে মানুষ করেছে। ওরা ক্যারিয়ারেও সফল। একজন বাবা হিসেবে আমি এর চেয়ে বেশি আর কী বা চাইতে পারি!

১৯৬৯ সালে বাবা রাজ কাপুরের সঙ্গে শুটিং সেটে গিয়েছিলেন রণধীর। যেখানে তিনি প্রথমবারের মতো ববিতাকে দেখেছিলেন।

সেই সময়ই ভালোলাগা, তারপর প্রেম। তবে সবটাই চলছিল লুকিয়ে। এরপর ধরে ফেলেন রাজ কাপুর।

রণধীর কপিল শর্মা শো-তে বলেছিলেন, টাইম পাস করছিলাম আমি, বিয়ে করার কোনো পরিকল্পনাই ছিল না। তবে কিছুটা পরিবারের চাপেই দুজনে বসেন পিঁড়িতে। ১৯৭১ সালের তাদের ছবি ‘কাল আজ অর কাল’ মুক্তির পরপরই বিয়ে করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম