Logo
Logo
×

বিনোদন

সন্তানকে অস্বীকার, আদালতে ডিএনএ পরীক্ষার দাবি আলিয়ার

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম

সন্তানকে অস্বীকার, আদালতে ডিএনএ পরীক্ষার দাবি আলিয়ার

চলতি বছরের শুরুতেই নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী আলিয়ার বৈবাহিক সম্পর্ক ক্রমেই অবনতির দিকে যায়। নওয়াজের মায়ের সঙ্গে স্ত্রী আলিয়ার বিবাদ এতটাই চরমে উঠেছে যে কয়েক দিন আগে জানা যায়, এই বলিউড তারকা এখন নিজের বাসা ছেড়ে হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন। এই বিবাদ না থামা পর্যন্ত তিনি নিজের বাসা থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে কয়েক বছর ধরে বলিউড অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকীর সম্পর্কটা সাপে-নেউলে।  ২০২০ সালে স্বামীর বিরুদ্ধে বিচ্ছেদের মামলা করেন আলিয়া, এক বছর পরই তা প্রত্যাহার করে নেন।  তবে ২০২২ সালেই আবার তাদের সংসারে ভাঙনের সুর।  এবার মুখ খুললেন আলিয়া। জানালেন, নওয়াজ তাদের দ্বিতীয় সন্তানকে নিজের বলে মনেই করেন না।  তাই আদালতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছেন তিনি।

কিছুদিন আগেই নওয়াজের মা মেহরুন্নিসা সিদ্দিকী আলিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিলেন।  তারই ভিত্তিতে ভার্সোবা পুলিশ থানায় নওয়াজের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল।  এরপর আলিয়াও চুপ করে বসে থাকেননি।  তিনি নওয়াজের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছেন।

গত সপ্তাহে আলিয়ার আইনজীবী অভিযোগ করেন, সাত দিন ধরে নওয়াজ তার স্ত্রীকে অভুক্ত রেখেছেন, আলিয়াকে এক টুকরো খাবার পর্যন্ত দেননি। আলিয়ার অভিযোগের পালটা জবাব দিয়েছেন নওয়াজও।

নওয়াজ ও আলিয়ার দাম্পত্য কলহ এবার নতুন মোড় নিল।  দ্বিতীয় সন্তানের পিতৃপরিচয় জানতে আদালতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছেন আলিয়া। তার দাবি, নওয়াজের মা সব সময়ই তার দ্বিতীয় সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন

আলিয়া অভিযোগ করেন, সে কখনই ভালো মানুষ ছিল না।  সে বরাবরই সাবেক প্রেমিকা, স্ত্রীকে অসম্মান করত, এখন আমাকেও করছে। এমনকি সে সন্তানদেরও লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে।

নওয়াজের মতো একজনের সঙ্গে জীবনের ১৮ বছর কাটিয়ে অনুশোচনায় ভুগছেন বলেও লেখায় উল্লেখ করেন আলিয়া। তাদের সম্পর্ক নিয়ে লিখতে গিয়ে আলিয়া লিখেছেন, ২০০৪ সালে তারা মুম্বাইতে লিভ ইন সম্পর্ক শুরু করেন। এই ঘটনার সাক্ষী নওয়াজের ভাই শামসুদ্দিন। কারণ ওই বাড়িতে তিনিও থাকতেন। লিভ ইনের পর ২০১০ সালে বিয়ে করেন। ২০১১ সালে প্রথম সন্তানের মা হন আলিয়া। সেই সময় নওয়াজের তেমন আয় ছিল না।

আলিয়া লিখেছেন, সন্তান প্রসবের খরচ জোগাতে মায়ের ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দিই। নওয়াজকে ওই টাকা দিয়ে একটি গাড়িও কিনে দিই।  কারণ সে বাসে যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত না।

যদিও নওয়াজের দাবি অনুযায়ী প্রথম সন্তান জন্মের পরই তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তবে আলিয়ার দাবি, পরবর্তী সময়ে আবার লিভ ইন শুরু করেন দুজনে। এরপর আলিয়ার কোলজুড়ে আসে দ্বিতীয় সন্তান। আলিয়ার দাবি, ছোট ছেলেকে নিজের ছেলে হিসেবে মানতে নারাজ নওয়াজ।

আলিয়ার নতুন এই বিবৃতি নিয়ে নওয়াজ বা তার আইনজীবীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম