আজীবন সম্মাননা নিয়ে সমালোচনা, যা বললেন ডলি জহুর
বিনোদন প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৪৪ পিএম
ঢাকার সিনেমায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সালের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেলেন প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী ডলি জহুর। ২৯ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দেয়। এ সম্মাননা প্রাপ্তি, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও সিনেমার কিছু বিষয় নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
* আজীবন সম্মাননা পেলেন। কেমন লাগছে?
** বেশ ভালো লাগছে। পুরস্কার বা স্বীকৃতি পেতে কার না ভালো লাগে। এবারে আমাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি আমার কাছে আনন্দের। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার দর্শকদের প্রতি। তাদের ভালোবাসায় আমি আজ এ অবস্থানে আছি। তবে আবার মন খারাপও আছে; সেটি হচ্ছে আজীবন সম্মাননার পর তো আর কোনো পুরস্কার নেই। তার মানে আমি কি আর কিছু করতে পারব না। আমার সময় কি শেষ? এমনটা ভাবি। কিন্তু আমি মনে করি আমার আরও অনেক কিছু করার আছে।
* আপনার কাছে বড় স্বীকৃতি বা সম্মাননা কোনটি?
** আসলে আমরা তো অভিনয় করি দর্শশদের ভালো লাগার জন্য। দর্শকদের ভালোবাসাই আমার কাজের বড় স্বীকৃতি, সবচেয়ে বড় পুরস্কার। অভিনয় জগতে এসে দর্শকদের এত ভালোবাসা পাব তা কখনো ভাবিনি।
* আজীবন সম্মাননা নিয়ে কেউ কেউ সমালোচনা করেছে। এ নিয়ে কিছু বলার আছে আপনার?
** না আমার কিছু বলার নেই। যারা পুরস্কার নিয়ে সমালোচনা বা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারাও আমার সহকর্মী। আমার মনে হয় না তারা আমাকে নিয়ে খারাপ কিছু বলেছে। নিজের মত প্রকাশ যে কেউই করতে পারেন। আমার সহশিল্পীরাও করেছেন। এগুলো নিয়ে আমি কিছু মনে করিনি।
* আপনাকে এখন অভিনয়ে দেখা যায় না, কেন?
** চলচ্চিত্রে অভিনয় করব না, এটি অনেক আগেই বলেছি। নাটকে হয়তো করতে পারি। তবে সেটা চরিত্র মনের মতো হলে।
* নাটক ও সিনেমার সেকাল/একাল নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
** আসলে আমি সামাজিক মাধ্যম কিংবা ইউটিউবে খুব একটা ঢুকি না। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে এটা ঠিক যে, একটা সময় বাংলাদেশে সবচেয়ে সেরা প্রযোজকরা সিনেমা ও নাটক প্রযোজনা করেছেন। এখনকার মতো নাটক সিনেমা দেখার জন্য এত মাধ্যম ছিল না। সিনেমা ও টেলিভিশন ছিল একমাত্র বিনোদন মাধ্যম। যার ফলে সে সময়ের নাটক-সিনেমাগুলো দর্শক লুফে নিত। এবং নাটক-সিনেমাগুলো হিট হতো। আর এখনকার বিষয়গুলো নিয়ে বলার কিছু নেই।