Logo
Logo
×

বিনোদন

একনজরে পরীমনির যত বিয়ে ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২১, ০৯:২১ এএম

একনজরে পরীমনির যত বিয়ে ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমনি এখন দেশের বেশি আলোচিত-সমালোচিত নাম। অবৈধ মাদকদ্রব্য রাখা, পর্নোগ্রাফি ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। 

পরীমনির প্রকৃত নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি। ১৯৯২ সালের ২৪ অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলায় জন্ম তার। ছোটবেলা থেকেই নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন পরী। মেধাবী ছাত্রী ছিলেন তিনি। পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিও পেয়েছিলেন।  

তবে সিনে জগতের প্রবেশের আগে পরে তার একাধিক বিয়ে ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা শোনা যায়।   

২০০৭ সালের দিকে পরীমনির মা আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুর বিষয়টি অনেকটা রহস্যাবৃত। এরপর বাবার সঙ্গে সাভারে বসবাস শুরু করেন পরীমনি। 

মাঝে মাঝে বরিশালে নানা বাড়ি গিয়ে থাকতেন। সেখানে মাসুদ নামের দূর-সম্পর্কের এক আত্মীয়ের সঙ্গে প্রেম ও পরে বিয়ে হয়। 
একদিন নানা বাড়ি থেকে মাসুদের সঙ্গে পালিয়ে চট্টগ্রামে চলে যান। ১ মাস পর আবারও বরিশালে ফিরে আসেন। এরপর বিচ্ছেদ হয় মাসুদের সঙ্গে। 

২০১১ সালের দিকে বাবার সঙ্গে সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় বসবাস শুরু করেন পরীমনি। এ সময় সাভার কলেজেও ভর্তি হয়েছিলেন। তবে নিয়মিত ক্লাস করতেন না। 

২০১২ সালের শুরুর দিকে সিলেটে তার বাবার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় বলে পরীমনির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়। ধারণা করা হয়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষ তাকে খুন করে। এরপর থেকে পরী সাভারে তার এক খালার বাসায় থাকতে শুরু করেন।

এরপর ২০১১ সাল থেকে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টসে (বাফা) নাচ শিখতে ভর্তি হন। নাচ করতেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। এভাবে সুযোগ পান টিভি নাটকে অভিনয়ের। ‘সেকেন্ড ইনিংস’, ‘এক্সক্লুসিভ’, ‘এক্সট্রা ব্যাচেলর’ নামের নাটকে দেখা গেছে তাকে। এরপর ‘নারী ও নবনীতা তোমার জন্য’ নামে একটি নাটকে নায়িকা চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান।

২০১৪ সালের দিকে তার সঙ্গে পরিচয় হয় কথিত প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের। রাজই তাকে সিনেমায় নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন। এরপর থেকে রাজের সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে সিনেমায় নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় পরীর। 

ওই সময় নজরুল ইসলাম খানের পরিচালনায় ‘রানা প্লাজা’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করেন পরী। কিন্তু ছবিটির মুক্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এরপর রাজই প্রযোজক হয়ে শাহ আলম মণ্ডলের পরিচালনায় নির্মাণ করেন ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ নামের একটি ছবি। ছবিতে নায়ক ছিলেন জায়েদ খান। এটিই পরীর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি।

সে সময়ই সিনেমাপাড়ায় তাকে নিয়ে ঘটে যায় হুলুস্থুল কাণ্ড। প্রথম ছবি মুক্তির আগেই ১৯টি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন পরী। এরপর থেকেই শুরু হয় তার বেপরোয়া জীবন। নজরুলের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। সেখানে প্রভাবশালীদের যাতায়াত ছিল।

অভিনয় জীবন ছাড়া ব্যক্তিজীবন নিয়েও বিতর্কিত এ নায়িকা। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় পরীমনির সঙ্গে দুজনের বিয়ের খবর। এমনকি বিয়ের ছবি, কাবিননামা ও তালাকনামার ছবিও প্রকাশ পায় ফেসবুকে। ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি সকালে একটি ফেসবুক আইডি থেকে কিছু ছবি শেয়ার দিয়ে দাবি করা হয়, পরীমনি ইসমাইল নামের একজনের স্ত্রী। 

কিছুদিন পরেই ফেসবুকে পাওয়া যায় সৌরভ কবীর নামের আরও একজনের সঙ্গে তার বিয়ের কাবিননামা এবং কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি। ছবিতে অভিষেক হওয়ার ঠিক আগের দুই বছর অর্থাৎ নাটকে অভিনয় করার সময় সেতু নামের এক ফটোগ্রাফারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। তারা দুই বছর সংসারও করেছিলেন। 

২০১৭ সালে তামিম হাসান নামের এক সাংবাদিকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের কথা জানা যায়। বাগদানও হয়েছিল। তামিমকে নিয়ে প্রকাশ্যে বিভিন্ন দেশে ঘুরতেও গিয়েছেন পরী। দুই বছর প্রেমের পর ২০১৯ সালে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। সর্বশেষ অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের ঘটনার দিনও তার সঙ্গে তামিমের উপস্থিতি দেখা গেছে।

এরপর  ২০২০ সালের ৯ মার্চ রাতে অভিনেত্রী ও পরিচালক হৃদি হকের অফিসে কাজি ডেকে তার সহকারী কামরুজ্জামান রনিকে মাত্র তিন টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। কিন্তু সে বিয়েও ৫ মাসের মাথায় ভেঙে যায়। 

এছাড়া ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় পলাতক আসামি বিতর্কিত ব্যবসায়ী চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আজিজ তাকে বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দেন বলেও জানা গেছে। 

এছাড়া ছবিতে অভিনয় করা কালেই তার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের এক সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। দীর্ঘদিন পরী তার ছত্রছায়ায় ছিলেন। বিভিন্ন কারণে সেই সংসদ সদস্যের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। তবে এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কিছু শিল্পপতির সঙ্গে তার সখ্য গড়ে উঠে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম