অভিনেত্রী মুনিয়া ইসলাম
আগামীকাল শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত দ্বিতীয় ছবি 'স্বপ্নজাল'। এ ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে টিভি অভিনেত্রী মুনিয়া ইসলামের। এতে জুলেখা চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। তার সঙ্গে রয়েছেন টিভি পর্দার আরেক পরিচিত মুখ ইরেশ যাকের।
মুনিয়া ইসলাম। যশোরের মেয়ে। বেশ কয়েক বছর ধরেই টিভি পর্দার নিয়মিত কাজ করছেন। ছোটবেলা থেকেই নাচ-গান শিখে বড় হয়েছেন। বড় হওয়ার সোজ টিভি পর্দায়। বলা মিডিয়ার প্রতি তার ভালোবাসাই এ অঙ্গনে টেনে এনেছে তাকে। বিজ্ঞাপনে আর নাটকে কাজ করার অভিজ্ঞতা জমতে জমতে স্বপ্ন হয়ে উঠে বড়।
চলচ্চিত্রে কাজের প্রতি চোখ যায় তার। মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। মুনিয়ার চলচ্চিত্রের কাজের স্বপ্নও বাস্তবায়ন হয়। তবে এখানে মুনিয়ার অবাক হন বেশ। কারণ তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের মতো জনপ্রিয় এক নির্মাতার হাত ধরে। এ গুণী নির্মাতার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার যে চলচ্চিত্রে অভিষেক হবে এটা তার ভাবনায়ও ছিল না।
গিয়াস উদ্দিন সেলিমের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘স্বপ্নজাল’। এতে জুলেখা চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। তার বিপরীতে অভিনয় করছেন ইরেশ যাকের। নিজের চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে নিজের চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি তিনি। বলা যায় নিজের সর্বোচ্চটা দেয়াই তার মধ্যে ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামীকাল ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহে।
এরপর জানা যাবে তার চেষ্টা কতটা সফল হন। দর্শকরা স্বপ্নজালের জুলেখাতে কতটা মুগ্ধ হতে পারেন। মুগ্ধতা ছড়াতে পারলেই নিয়মিত হবে এ মাধ্যমে। নিয়মিত এ ধরনের ছবিতে অভিনয় করার চেষ্টা করবেন। তবে শুধু এ ট্র্যাকের ছবিতেই নয়। মুনিয়া সব ধরনের ছবিতেই অভিনয় করতে চান বলে জানালেন।
তিনি বলেন, আমি সব ধরনের ছবিতে কাজ করতে চাই। আমি মনে করি এদেশের চলচ্চিত্রে সামনে আসছে উজ্জ্বল সময়। এ উজ্জ্বল সময়ের চলচ্চিত্রে নিয়মিত কাজ করতে চাই। আর সেটি অবশ্যই ভালো গল্পের।
মিডিয়াতে কাজে আসার প্রসঙ্গে মুনিয়া বলেন, ‘মা আমাকে ছোটবেলা থেকেই নাচ-গান শেখানোর জন্য স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন। আমার সব সময়ই অভিনয় করতে ইচ্ছা করত। আমার যেহেতু কোনো ভাইবোন নেই, তাই বাসায় একাই খেলতে হতো। আমি নিজে নিজেই টিচার, ছাত্র, চাচি, খালা হয়ে একাই খেলতাম। তখন থেকেই অভিনয়ের প্রতি আলাদা দুর্বলতা তৈরি হয়। তার পর টিভিতে সিনেমার গানে দেখতাম যে নায়িকারা ড্রেস বদল করে গান গাইছে। আমারও ইচ্ছা করত ওরকম করতে, তাই একটু পরপর নিজেই ড্রেস চেঞ্জ করে গান করতাম, নাচ করতাম। পত্রিকায় মডেলদের ছবি দেখে খুব ইচ্ছা করত, ইশ, যদি আমার ছবিও এভাবে ছবি ছাপা হতো! এ আগ্রহ থেকেই আসলে মিডিয়ায় কাজ করা।’
পড়াশোনায় গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন তিনি। এখন শোবিজে নিয়মিতই দেখা যাবে তাকে। স্বপ্নজাল ছবিটি তার ক্যারিয়ারের টার্নিংপয়েন্ট হবে বলেই তিনি মনে করেন।’ এ মুহূর্তে তার অভিনীত প্রচার হওয়া ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে রয়েছে এটিএন বাংলার ভলিউমটা কমান, একুশে টিভিতে চিরকুমার ক্লাব।
এছাড়াও ওয়ানওয়ে নামের একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করছেন তিনি।’ অল্প কাজ করেই এখন বেশ পরিচিত মুনিয়া। নির্মাতাদের চোখে চোখে আছেন তিনি। দর্শকদের কাছেও পরিচিত পাচ্ছেন। তার অভিনয় শুরু রিপন নবীর ‘অগ্নিপথ’ নাটক দিয়ে। এরপর অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন।
গুণী নির্মাতাদের সঙ্গেও অভিনয় করা হয়েছে তার। গিয়াস উদ্দীন সেলিমের ‘উজান গাঙের নাইয়া’, মাহফুজ আহমেদের ‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে’ উলেখযোগ্য। তন্ময় তানসেনের নির্দেশনায় ডেইলিসোপ ‘অগ্নিপথ’-এ অভিনয়ের মধ্যদিয়ে মিডিয়ায় মুনিয়ার অভিষেক ঘটে। কাল শুরু হচ্ছে তার নতুন পরীক্ষা। দেখা যাক, এ পরীক্ষায় দর্শক তাকে কতটা নম্বর দেন।