Logo
Logo
×

আনন্দ নগর

সংস্কৃতিকর্মীদের দাবি বাস্তবায়ন করল সরকার

Icon

আনন্দনগর প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সংস্কৃতিকর্মীদের দাবি বাস্তবায়ন করল সরকার

সংস্কৃতিকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী দেশের সব জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের ভাড়া কমিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ১২৫তম পরিষদ সভায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনগুলোর ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন থেকে আগের তুলনায় অর্ধেকেরও কম ভাড়ায় জেলা পর্যায়ের মিলনায়তগুলো ভাড়া নিতে পারবে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বা সংগঠকরা। সম্প্রতি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন সময় জেলা পর্যায়ে সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনায় স্থানীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জন্য ভাড়া কমানোর বিষয়টি উঠে আসে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পর্যায়ে মিলনায়তনের ভাড়া কমানো হয়েছে। আমরা মনে করেছি যে, আমাদের লাভ করা বা আয় বৃদ্ধি করা জরুরি নয়। শতকরা শতভাগ ব্যয় করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মিলনায়তনগুলোর নিজস্ব কিছু খরচ আছে। লাইট, সাউন্ড, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ব্যবস্থাপনা-এসব চিন্তা করে আমরা জেলাগুলোর জন্য ন্যূনতম মিলনায়তন ভাড়া রেখেছি।’

এদিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন ভাড়া কমায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন সাংস্কৃতিককর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরকারের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকে। এ সিদ্ধান্তে তৃণমূল পর্যায়ে নাট্যচর্চা আরও প্রসারিত হবে বলেও মন্তব্য করছেন সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বরা। আরণ্যক নাট্যদল প্রধান মামুনুর রশীদ বলেন, ‘মিলনায়তন ভাড়া ও প্রণোদনা নিয়ে নাট্যদলগুলো দীর্ঘদিন ধরেই কথা বলে আসছে। আরণ্যক তো প্রতিবাদ জানিয়ে একবার শো বাতিল পর্যন্ত করেছিল। শিল্পকলা এখন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা নিঃসন্দেহে ভালো, তাতে করে নাট্যদলগুলো ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সংস্কৃতি চর্চায় আরও উদ্বুদ্ধ হবে। নিজের খরচে বাংলাদেশে নাট্যচর্চা করা হয়, সেখানে যদি নাটকের প্রদর্শনী করতে হাজার হাজার টাকা গুনতে হয়, তাহলে এটিও নাট্যচর্চায় একটি বাধা বলেই আমি মনে করি।’

গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টি নিয়ে অনেক আগে থেকেই কথা বলে আসছি। কয়েক বছর আগে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বরাবর চিঠিও লিখেছিলাম। কিন্তু আমাদের দাবির বিষয়ে তখন কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এর প্রতিবাদে ঢাকার বড় দুটি নাট্যদল তাদের নাটকের প্রদর্শনীও বন্ধ করে দেয়। নাট্যকর্মীরা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা এ যুদ্ধ অনেক আগে থেকেই করছেন। এবার কিছুটা হলেও তার ফল মিলেছে দেশের পট পরিবর্তনের পর।’

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ থিয়েটারের দলপ্রধান ও নাট্যকর্মী খন্দকার শাহ আলম বলেন, ‘দীর্ঘদিনের দাবির বাস্তবায়ন দেখে খুব ভালো লাগল। সারা দেশের সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিসহ সম্মানিত পরিষদ সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ ধরনের প্রণোদনা সংস্কৃতির বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম