Logo
Logo
×

অন্যান্য

মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষকের মন্তব্যে যা বললেন উরফি জাভেদ

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৩ এএম

মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষকের মন্তব্যে যা বললেন উরফি জাভেদ

ফাইল ছবি

একুশ শতকেও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যখনই ধর্ষণের মতো বিষয় নিয়ে কথা ওঠে, তখনই নারী সমালোচিত তার পোশাক নিয়ে। মেয়েরা শরীর ঢাকলেই নাকি নিরাপদ— এমন তথ্য বা বক্তব্য বহুবার বহুজন বলেছেন। বিশেষ করে ধর্ষণের মতো ঘটনা প্রকাশ্যে এলে। একই বক্তব্য ফের শোনালেন পেশায় আত্মরক্ষা প্রশিক্ষক মার্শাল আর্ট একাডেমির কর্ণধার মান্নান দত্ত। 

মেয়েদের মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এ উদ্যোক্তা বলেন, বিপজ্জনক রাস্তায় মেয়েরা যদি খোলামেলা পোশাক পরে হাঁটেন, তা হলে তাদের বিপদে পড়তেই হবে। তার এমন বক্তব্যের ঝলক সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নজরে আসে বিনোদন জগতের জনপ্রিয় মডেল উরফি জাভেদের। সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। 

প্রশ্ন রেখে উরফি বলেন, মেয়েরা কি ইচ্ছাকৃতভাবে ছোট পোশাক পরে বিপজ্জনক রাস্তায় হাঁটেন, ধর্ষণের শিকার হবেন বলে? তিনি বলেন, আফসোস তার, ধর্ষককে শাস্তি দেওয়ার বদলে ধর্ষিতার পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তোলা বোধহয় আজও বেশি সহজ।

উরফি বলেন, গা ঢাকা পোশাক পরেও চার বছরের শিশু কিংবা বোরকায় ঢাকা নারী ধর্ষিত হয়। তাদের মতে, পোশাক ধর্ষণের অন্যতম কারণ নয়। সেই মত মেনে নিয়ে মান্নানও কিছু যুক্তি দেখিয়েছেন। তার মতে, যে রাস্তায় চুরি-ছিনতাই বেশি হয়, সেই রাস্তা দিয়ে কেউ যদি দামি ঘড়ি, ফোন কিংবা ব্যাগভর্তি টাকা হাতে হাঁটেন— তার বিপদ হবেই। এ নিয়ম নারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে পোশাক নির্বাচন করলে হয়তো কিছুটা হলেও নিন্দুনীয় ঘটনা আটকানো সম্ভব বলে জানান এ উদ্যোক্তা।

কিন্তু উরফি বলেন, কোনো ব্যাংকে কম নিরাপত্তারক্ষী মানেই কি সেই ব্যাংক ডাকাতদের অবাধে লুটপাট চালানোর আমন্ত্রণ জানাচ্ছে? তিনি বলেন, ৯০ শতাংশ ধর্ষিতা তাদের ধর্ষকদের চেনেন। অর্থাৎ পরিচিতরাই তাদের সঙ্গে এমন ঘৃণ্য ঘটনা ঘটান। 

এ মডেল বলেন, এটাই প্রমাণ করে দিচ্ছে— পোশাকের বিষয়টি কোনো কারণই নয়। কারণ এখনো শহরের থেকে গ্রামাঞ্চলে ধর্ষণ বেশি ঘটে। ফের প্রশ্ন তোলেন তিনি বলেন, রাস্তায় খুনি ওঁৎ পেতে থাকবে— এই আশঙ্কা থেকে কি কেউ স্বাধীনভাবে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করবেন না?

উরফি উদ্যোক্তা মান্নানের মতো পুরুষের কাছ থেকে তার ভক্ত-অনুরাগীদের দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এবং বলেছেন, ২০২৫ সালে নারীর পোশাকের দিকে আঙুল তোলা পুরুষ প্রশিক্ষকের অস্তিত্ব থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম