তারেক রহমানকে বকার ভিডিও দেখাতে পারলে জুতার মালা পরবেন হিরো আলম
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ পিএম
ঢালিউড অভিনেতা ও আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে গেলে তার ওপর হামলা করে একদল যুবক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, হিরো আলমকে বেধড়ক পেটানো হচ্ছে। এমনকি কানে ধরে ওঠবসও করানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে হিরো আলম বলেন, যে অপরাধ করেননি, সেই অপরাধের অভিযোগে আবারও পিটুনির শিকার হলেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, ‘আমাকে এলোপাতাড়ি পেটানো হয়েছে। সারা শরীরে ব্যথা। পিটিয়ে আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল ওরা।’ কী অপরাধে পেটানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমি মামলা করতে গিয়েছিলাম।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে কয়েকজন যুবক তাকে পিটুনি দিয়েছে বলে জানান এ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। হিরো আলম বলেন, ‘আজকে আমাকে বিএনপির লোকজন মারধর করল। তারা বলছে— আমি তারেক জিয়ার নামে কী বলছি। কেউ যদি সেই ভিডিও দেখাতে পারেন যে, আমি হিরো আলম তারেক জিয়াকে বকা দিছি, গালি দিছি... তাহলে আমি পুরো জুতার মালা গলায় দিয়ে বগুড়া শহর ঘুরব।’
মারধরের শিকার এ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, ‘এক স্বৈরাচারের পতনের পর আরেক দল নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে— এটি কি স্বাধীনতা? প্রকাশ্যে আমাকে হত্যাচেষ্টা করা হলো! আমি কখনো তারেক জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করিনি।
তিনি বলেন, ডিবি হারুন আমার পরিবারকে জিম্মি করে রিজভী সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছিল। এ কথা আগেও বলেছি। এর পরও আমাকে আদালতের মতো জায়গায় সবার সামনে পেটানো হলো। যারা এ হামলা করেছে, তাদের ফুটেজ আছে; শনাক্ত করে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান হিরো আলম।
উল্লেখ্য, ‘২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ও ২০২৩ সালের উপনির্বাচনে হিরো আলমের ওপর হামলা করা হয়েছিল। ভোট কারচুপি করা হয়েছে। এসব অভিযোগে ৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করতে আদালতে গিয়েছিলেন হিরো আলম। ওই ৩৯ ব্যক্তির মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।