কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ফুড ভ্লগার ইফতেখার রাফসান ওরফে ‘রাফসান দ্য ছোট ভাই’কে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিকালে আগাম জামিন নেওয়ার জন্য বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে গেলে সতর্ক করা হয় রাফসানকে।
এ সময় রাফসান নিজের পক্ষে সাফাই গান। তিনি জানান, তিনি মডেলিং করেছেন পণ্যটির। আর এটি ভুল হয়েছে তার।
তখন হাইকোর্ট তাকে বলেন, আপনার সতর্ক হওয়া উচিত এ ধরনের বিজ্ঞাপন করার ক্ষেত্রে। খাদ্যের মান ঠিক রাখা নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না। এটি জনস্বার্থের জন্য হুমকি।
এ সময় রাফসানের পক্ষ থেকে অননুমোদিত ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস নিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্ট দাখিল করেন। যদিও এ রিপোর্ট সন্তুষ্ট করতে পারেনি হাইকোর্টকে। তারপরও সব বিবেচনায় নিয়ে রাফসানকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।
ঢাকার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবর সম্প্রতি এ মামলায় রাফসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খাদ্য পরিদর্শক কামরুল ইসলাম নিশ্চিত করেন এ তথ্য। আর সম্প্রতি ‘ব্লু ড্রিংকস’ বাজারজাত করার অভিযোগে ঢাকার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে কামরুল ইসলামই মামলাটি করেছিলেন।
এর আগে গত ১৩ জুন জানা যায়, রাফসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অনুমোদনহীন ব্লু ড্রিংকস বাজারজাত করার জন্য এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তখন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবর এ আদেশ দেন।
গত ২৪ এপ্রিল কুমিল্লা নগরীর বিসিক এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ব্লু ড্রিংকস কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। যা গত ১৭ মে নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই সময় ইফতেখার রাফসানের ব্লু ড্রিংকস (BLU) তৈরির কারখানায় মানহীনভাবে ব্লু ড্রিংকস তৈরি করার অভিযোগে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, কুমিল্লার বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত ‘মেসার্স ড্রিংকব্লু বেভারেজ’ প্রতিষ্ঠানটি মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন সনদ গ্রহণ না করে ‘ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক’ পণ্য প্রস্তুত করে আসছিল। এছাড়াও কারখানায় কোনো পরিমাপ যন্ত্র ছাড়াই বোতলজাত করা হচ্ছিল ড্রিংকসগুলো। নিবন্ধন ছাড়াই মোড়কজাত ও বাজারজাত করায় ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন -২০১৮’ এর ৪১ ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমান করা হয়।