মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন রেজা কিবরিয়া

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:০২ পিএম

নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন ড. রেজা কিবরিয়া। ছবি: যুগান্তর
ভোটের দিন ঢাকায় চলে গেলেও শুক্রবার আবারও নিজ এলাকার মানুষের কাছে ছুটে যান সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া।
সকালেই তিনি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার জালাসাপ গ্রামে নিজ বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন তিনি।
এ সময় অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। রেজা কিবরিয়া উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তাদের সান্ত্বনা দেন।
এ সময় ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, এটি আসল ভোট নয়। ভোট ডাকাতি করে তারা জয় পেয়েছে। আমি জানি তাদের মাঝে কোনো তৃপ্তি নেই। কারণ ডাকাতির মাধ্যমে কোনো কিছু অর্জনে তৃপ্তি থাকে না। ভোটাররা যেভাবে ভয়ভীতি, গ্রেফতার আতংক, মামলা, হামলা সব উপেক্ষা করে সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে ছুটে গিয়েছিলেন, যদি তারা ভোট দিতে পারতেন তবে তাদের (আওয়ামী লীগের) এমন ভরাডুবি হতো যা কল্পনাও করা যেত না। এবার আসল ভোটের জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কিবরিয়াপুত্র বলেন, এখন প্রমাণিত হয়ে গেছে দেশে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ছাড়া বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এ সরকার এটি সবার কাছে প্রমাণ করেছে। তারা জোর গলায় বাইরে অনেক কিছুই বলে। কিন্তু ঘরে যখন যায় তখন তারা ঠিকইভাবে কী লজ্জাজনক একটি কাজ করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটি দল ছিল, যে দলটি একসময় মানুষের মুক্তির জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে। তাদের ডাকে এদেশের প্রতিটি মানুষ প্রাণ দিতে রাজি ছিল। আর এখন এ আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে।
নিজ এলাকার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, সবাই নিরাপদ থাকবেন। কারও সঙ্গে কোনো ধরনের বিবাদে জড়াবেন না। যখনই আসন নির্বাচনের ডাক আসবে তখন সবাইকে থাকতে হবে। তখন কোনো ভয়ভীতি থাকবে না।
সকালে ড. রেজা কিবরিয়া নিজ বাড়িতে পৌঁছালে খবর পেয়ে তার নির্বাচনী এলাকা নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলার নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর পর্যন্ত তিনি তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তাদের খোঁজখবর নেন।