
প্রিন্ট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৯ এএম
লক্ষ্মীপুর-২: আ’লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ৮

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:২৫ পিএম

ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেনের বাড়ি ভাঙচুর
আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ঐক্যফ্রন্ট ও মহাজোট প্রার্থীর পৃথক নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। এর জের ধরে কেরোয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেনের বাড়ি ও ওষুধের দোকানে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে মহাজোট প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে কেরোয়া ইউনিয়নের আমিনবাজার এলাকায় ও মঙ্গলবার সকালে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের বাড়িতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা পৃথক এ হামলা চালায়।
রাতেই পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিপি সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছেন।
মঙ্গলবার সকালে বাস টার্মিনাল এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করায় পাঁচজনকে আটক করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে লক্ষ্মীপুর কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
যুবদল নেতা আরিফ হোসেন জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপি প্রার্থীর ধানের শীষ ও আওয়ামী লীগ সমর্থীত প্রার্থীর আপেল প্রতীকের দুটি মিছিল মুখোমুখি হলে বিএনপির স্লোগান বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় হঠাৎ আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে ইউপি সদস্য আরিফ এসে বিএনপির কর্মী দুলালকে মারধর করে।
পরে উভয় দলের নেতাকর্মীদের সান্ত্বনা দিয়ে মীমাংসা করে দেয়া হয়। এর জের ধরে রাত ৯টার দিকে ইউপি সদস্য আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১৫-২০ জনের বাড়িতে ঢুকে আমার স্ত্রী ও মা-বাবাকে বিভিন্নভাবে হয়রানির করার হুমকি দিয়ে বসতঘর ও একটি ওষুধের দোকান এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ভাঙচুর করে।
মঙ্গলবার সকালে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের বাড়ির দরজায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপি নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়া নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় আওয়ামী লীগের কর্মীরা কেরোয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মৃধা, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মিজান, সদস্য মো. কামাল, জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে চলে যায়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আরিফুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক লিটন বলেন, দুপক্ষের নির্বাচনী প্রচারণার সময় হাতাহাতি হয়। রাতে কে বা কারা যুবদল নেতার বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর করেছে আমরা জানি না।
রায়পুর থানার ওসি আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। বাস টার্মিনাল এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করায় পাঁচজনকে আটক করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে লক্ষ্মীপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।