চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সীতাকুণ্ডের মাদামবিবিরহাট এবং টোব্যাকো গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ (চমেক) নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

তবে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি পরস্পরকে দোষারোপ করছে। 

আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম এমপি বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন আমাদের লোকের ওপর হামলা করে। তারা হামলায় ২০১৩-১৪ সালের মতো পেট্রলবোমা ব্যবহার করে। পেট্রলবোমায় ছাত্রলীগকর্মী তৈয়ব আলী সাদ্দাম হোসেনসহ আটজন আহত হন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তোফাজ্জল আহমেদ বলেন, পুরো সীতাকুণ্ড এলাকায় আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের মাইক ভাঙচুর করেছে। পোস্টার ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে।  আমাদের গণসংযোগ করতে দিচ্ছে না। 

সীতাকুণ্ড ছাত্রদলের সভাপতি মো. ইরফানুল হাসান রকি বলেন, আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে মাদামবিবিরহাট এবং টোব্যাকো গেট এলাকায় গণসংযোগে নামলে ছাত্রলীগের ৩০-৪০ নেতাকর্মী ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক, রামদা ও লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। হামলায় খোরশেদ আলম মেম্বার, ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ওমর ফারুক, ভাটিয়ারী ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন, মো. মহিউদ্দীন, মিজানুর রহমান রুবেল, মো. রানা ও মহিউদ্দিন আহত হন। আহতদের নগরীর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

সীতাকুণ্ড ভাটিয়ারী ইউনিয়নের তাঁতী লীগের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন টিটু বলেন, ভাটিয়ারী এলাকায় গণসংযোগকালে বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা পেট্রলবোমা, দা, ছুরি, লাঠি নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে। পেট্রলবোমায় ছাত্রলীগ কর্মী তৈয়ব আলী সাদ্দাম হোসেন (২৯) আহত হন। এ ছাড়া আহত হন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেক, নুর উদ্দীন, সাহেদ মেম্বারসহ ৮ জন।   

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি দেলাওয়ার হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।