
প্রিন্ট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২০ পিএম

একেএম শামসুদ্দিন
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ফেসবুক পেজে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তথ্য প্রচার হওয়ার পর বাংলাদেশের মূলধারার সংবাদপত্র থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ব্যক্তিগত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এটিকে যুগান্তকারী বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গত ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের এক ফাঁকে বৈঠকে মিলিত হলে মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ইউ থান শিউ বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গা সমস্যাবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া তালিকাভুক্ত ৮ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার যোগ্য বলে জানিয়েছেন। তবে হঠাৎ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের এ ঘোষণার পেছনে মিয়ানমারের কী অভিসন্ধি থাকতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮ লাখ তালিকাভুক্ত করা হলেও বর্তমানে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ১২ লক্ষাধিক নিবন্ধিত রোহিঙ্গা বসবাস করছে। ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মোট ছয়টি ধাপে ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। তারপর থেকেই মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে টালবাহানা শুরু করে। বাংলাদেশের দেওয়া এ তালিকা থেকে মিয়ানমার কখনো সহস্রাধিকের বেশি রোহিঙ্গা ফেরত নিতে রাজি হয়নি। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমার সে সময় বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছিল, যা সম্পূর্ণই মিয়ানমারের পক্ষে ছিল। ওদিকে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। মিয়ানমার জান্তার অবর্ণনীয় নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার পেছনে একটি বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার। লেখাটি বড় হয়ে যাবে বলে সে প্রসঙ্গটি এখানে উল্লেখ করা গেল না। শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালে মিয়ানমার এক হাজার ১০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি হয়েছিল। তবে প্রত্যাবাসনে জটিলতা তৈরি করতে এক হাজার ১০০ রোহিঙ্গার তালিকা প্রণয়নেও মিয়ানমার সে সময় প্রতারণা করেছিল। দেখা গেছে, এক পরিবারের চার সদস্যের দুজনকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, আবার এক পরিবারের একজনকে সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তালিকায় স্বামীকে বাদ দিয়ে স্ত্রীকে, পিতাকে বাদ দিয়ে সন্তানকে, এমনকি কন্যাকে বাদ দিয়ে মাকে তালিকাভুক্ত করেছিল। তাতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। আসলে তালিকাভুক্ত করতে গিয়ে তারা ভেরিফিকেশনের নামে পরিবারকে আলাদা করা, একই মহল্লার লোকদের পৃথক করার অপকৌশল নিয়েছিল তারা। তাছাড়াও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বসতভিটা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে মীমাংসা না করে তাদের প্রত্যাবাসন ক্যাম্পে রাখার ব্যবস্থা করায় রোহিঙ্গারা ফেরত যেতে অস্বীকার করেছিলেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ কেন মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরাতে চাচ্ছে? তাদের এ ঘোষণার পেছনে আসল উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রতিশ্রুতি এটিই প্রথম নয়। আগেই উল্লেখ করেছি, প্রত্যাবাসন নিয়ে ইতঃপূর্বে মিয়ানমার অনেক ঘটনার অবতারণা করেছে। জাতিসংঘও বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের কোনো উদ্যোগকেই তোয়াক্কা করেনি। চীন ও রাশিয়ার ছত্রছায়ায় থেকে মিয়নমার প্রত্যাবাসনের বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। কাজেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার মিয়ানমারের সর্বশেষ ঘোষণার পেছনে নতুন কোনো মতলব আছে কিনা দেখা প্রয়োজন। বর্তমানে মিয়ানমারের প্রায় ৪৫ শতাংশ ভূখণ্ড সে দেশের বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। বেশির ভাগ সীমান্তবর্তী অঞ্চল জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। এর মধ্যে চিন ও রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ ইতোমধ্যে হারিয়েছে জান্তা সরকার। রাখাইনের রাজধানী সিটুয়ে এবং বন্দরনগরী কিয়াকফিউ বাদে রাজ্যের ৯০ শতাংশ ভূখণ্ড এখন আরাকান আর্মির দখলে। উল্লিখিত শহর দুটো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে পুরো রাখাইন আরাকান আর্মির হাতে চলে যাবে। আরাকান আর্মি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এ দুটো শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এক কঠিন সংকটের মুখে উপনীত হয়েছে। এ কারণে তারা আরাকান আর্মিকে ঠেকাতে উপায় খুঁজে ফিরছে।
মিয়ানমারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন আদৌ সম্ভব কি না ভেবে দেখতে হবে। আরাকান আর্মিকে পাশ কাটিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কোনো অবস্থাতেই সম্ভব নয়। রাখাইনের যেসব এলাকায় রোহিঙ্গাদের বসতি, সেগুলো এখন আরাকান আর্মির দখলে। আগেই বলেছি, বিগত কয়েক বছর ধরে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধে মিয়ানমার জান্তা কৌশলে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করেছে। ফলে রোহিঙ্গাদের ওপর আরাকান আর্মির ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কিছুটা জটিল আকার ধারণ করেছে। এসব বিবেচনায় নিয়েই বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। অথচ কয়েক বছর আগেও রোহিঙ্গাদের প্রতি আরাকান আর্মির মনোভাব ছিল পজিটিভ। সে সময় আরাকান আর্মি প্রধান মেজর জেনারেল তোয়াই ম্রা নাইং ঢাকার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি ও পূর্ণ মর্যাদায় গ্রহণ করার কথা বলেছিলেন। রাখাইন তখন জান্তা সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রাখাইন আর্মি প্রধান বলেছিলেন, ধর্ম বিবেচ্য নয়, জন্মসূত্রেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। রোহিঙ্গারা যদি আসতে চায়, আসুক। আমরা এ প্রত্যাবর্তনের বিরুদ্ধে নই। তাদের দিক থেকে ফিরে আসতে চাওয়াই স্বাভাবিক। কারণ, শরণার্থী শিবিরে তাদের অবস্থা ভালো নয়। রোহিঙ্গাদের জন্মভূমিতে ফিরিয়ে এনে যত দ্রুত সম্ভব নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা উচিত। ১৯৮২ সালের যে আইনের বলে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব হরণ করেছিল; তারা সেই আইন সংশোধন/বিলোপের অঙ্গীকারও করেছিল।
মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরাকান আর্মি তখন অনানুষ্ঠানিকভাবে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সহায়তা কামনা করেছিল। শেখ হাসিনা সরকার তাদের সে অনুরোধে কর্ণপাত করেননি। এ বিষয়ে আরাকান আর্মিপ্রধানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে আমরা কাজ করতে আগ্রহী। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আরাকান আর্মির কোনো যোগাযোগ ঘটেছে কিনা, জিজ্ঞেস করলে উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি নানা সময়ে। প্রত্যাশিত সাড়া পেয়েছি বলতে পারব না। আমাদের দিক থেকে সিদ্ধান্ত রয়েছে, বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনার। আমরা যথাযথ সাড়ার অপেক্ষা করছি।’ এরপর অবশ্য বাংলাদেশের গোয়েন্দা সদস্য পর্যায়ে কিছুটা যোগাযোগের চেষ্টা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কারণ গোয়েন্দা সদস্যরা তো বাংলাদেশের কোনো অথরিটি নয়। এভাবে কয়েক বছর যোগাযোগ রক্ষা করা হলেও শেখ হাসিনা সরকারের আন্তরিকতার অভাবে এ বিষয়ে আর অগ্রগতি হয়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাত গুটিয়ে বসে থাকলেও ভারত কিন্তু আরাকান আর্মির সঙ্গে ঠিকই যোগাযোগ রক্ষা করে এসেছে। বাংলাদেশের অনেক বিশেষজ্ঞকেই প্রশ্ন করতে শোনা যায়, আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ কি সরাসরি হবে? নাকি জটিলতা এড়াতে পরোক্ষভাবে হবে? ফরমালি যোগাযোগ আমরা আগেও করেছি। এখনো করতে হবে। ফরমাল যোগাযোগ করলে মিয়ানমার সরকার তাতে খেপে যেতে পারে। এ ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার জান্তা সরকার এখন প্রধান গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ নয়; আরাকান আর্মির সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে। শুধু তাই নয়, চিরাচরিত রোহিঙ্গাবিদ্বেষী রাখাইন জনগণের (বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী) মনোভাব পরিবর্তনের জন্য রাখাইনের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। এদিক দিয়ে ভারত অনেকটাই এগিয়ে আছে। রাখাইনের সিটুয়েতে কালাদান নদীর তীরে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রজেক্ট রয়েছ। এখান থেকেই কালেটাও, জরিনপুর, লংলাই হয়ে মিজোরামের রাজধানী আইজল পর্যন্ত রোড নেটওয়ার্ক সংযুক্ত হয়েছে। ভারত এরইমধ্যে আরাকান আর্মির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদের অনেক অর্থ ব্যয়ের কালাদান প্রজেক্ট রক্ষার অঙ্গীকার আদায় করে নিয়েছে। এ প্রজেক্ট বাস্তবায়নে ভারত আরাকান আর্মিকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। রাখাইনের অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে সহায়তা এবং মিজোরাম থেকে রাখাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তাব অন্যতম। আরাকান আর্মির অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার অনেকেই মিজোরামে সপরিবারে বসবাস করছেন বলে জানা যায়। তাদের অনেকেই বৈধ কিংবা অবৈধ উপায়ে ভারতীয় পাসপোর্ট ম্যানেজ করে বৈদেশিক যোগাযোগ রক্ষা করছে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে এখন আরও বেশি কৌশলী হতে হবে। রাখাইনে এখন যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তাতে এ কথা বলা যায়, জান্তা বাহিনী রাখাইনে যে ভূমি হারিয়েছে তা সহজেই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। এ কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হলে ওই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ আরাকান আর্মির পাশে দাঁড়াতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপও তাদের এক প্রতিবেদনে একই মনোভাব প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ তার নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার্থে আরাকান আর্মিকে একটি স্থিতিশীল ও অর্থনৈতিকভাবে নিরাপদ অঞ্চল গঠনে সাহায্য করতে পারে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ, আরাকান আর্মির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান আরাকান আর্মির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়ক। সীমান্তবর্তী দেশ হওয়ায় আরাকান আর্মির জন্য বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারও বটে। এ কারণে আরাকান আর্মিরও ভেবে দেখা উচিত, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে তারা অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক সুবিধা পেতে পারে। তাতে তাদের সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে সহজ হবে এবং প্রয়োজনীয় রসদ ও সমর্থন পাওয়া যাবে।
ড. খলিলুর রহমান রাখাইনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে জাতিসংঘের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন, যা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সহায়ক হবে। এজন্য বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও আরাকান আর্মির মধ্যে পরোক্ষভাবে আলোচনা চলছে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন। তাদের প্রস্তাব, জান্তা ও আরাকান আর্মি উভয় পক্ষ যদি যুদ্ধ পরিহার করে, তাহলে এ স্থিতিশীলতা ফেরানো সম্ভব। যদি তা করা যায় অর্থাৎ যুদ্ধাবস্থা থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হলে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়াটি সহজতর হবে। তবে সবকিছু নির্ভর করবে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতার ওপর। এ জন্য মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মি উভয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে, বাংলাদেশকে ভারসাম্য ও কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, কলাম লেখক