Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট

অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট

ছবি: সংগৃহীত

রমজান সামনে রেখে বাজারে সয়াবিন তেল নিয়ে ফের তেলেসমাতি শুরু হয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভোজ্যতেল আমদানি করা হলেও বাজারে কেন এর প্রভাব নেই, এ প্রশ্ন ভোক্তাদের। জানা যায়, ৬ থেকে ৭টি কোম্পানি তেলের বাজার ঘিরে কারসাজি অব্যাহত রেখেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো জোটবদ্ধ হয়ে গত কয়েক মাস ধরে সরবরাহ কমিয়ে তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে।

এতে প্রায় বাজারশূন্য হয়ে পড়ছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। এ অবস্থায় আসন্ন রমজানে সয়াবিন তেলের বড় সংকট দেখা দিতে পারে, এমন শঙ্কা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। তাদের মতে, সরকারিভাবে দাম বাড়াতেই প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের জিম্মি করছে। সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকটে বাজারে ভোক্তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। অনেকে সয়াবিনের বদলে সরিষার তেল ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের গবেষণা তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা ২৩ থেকে ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে রমজান মাসে চাহিদা ৩ লাখ টন। দেশে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪৮ টন। এছাড়া দেশে উৎপাদিত হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টন। এছাড়া আমদানি পর্যায়ে পাইপলাইনে রয়েছে ৮ লাখ ১২ হাজার ৫৬৫ টন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য নিম্নমুখী। এ তথ্য থেকেই বোঝা যায়, দেশে ভোজ্যতেলের সংকটের কোনো কারণ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোজ্যতেলের সংকটের মূলে রয়েছে কিছু প্রতিষ্ঠানের কারসাজি। কারা কোন পর্যায়ে কারসাজি করছে, তা চিহ্নিত করে দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

গত কয়েক বছর মতো এবারও অসাধু ব্যবসায়ীরা রমজান শুরুর কয়েক মাস আগে থেকেই ছোলা, ভোজ্যতেল, চিনি ইত্যাদি পণ্যের দাম বাড়ানো শুরু করেছে। অতীতে আমরা লক্ষ করেছি, রমজান মাসে যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, সেসব পণ্যে শুল্কছাড় দেওয়ার পরও ভোক্তারা এর সুফল পায়নি। এবারও যেন তেমনটি না ঘটে, সেদিকে কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। বিগত সরকারের আমলে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধে কর্তৃপক্ষ অনেক আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ নেবে, এটাই প্রত্যাশা। কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যাতে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে। এক্ষেত্রে সর্বাগ্রে সরিষার ভেতরের ভূত তাড়াতে নিতে হবে যথাযথ পদক্ষেপ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম