Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

নতুন অঞ্চলে বন্যা: সামগ্রিক অবস্থার প্রেক্ষিতে করণীয় ঠিক করুন

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নতুন অঞ্চলে বন্যা: সামগ্রিক অবস্থার প্রেক্ষিতে করণীয় ঠিক করুন

বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় দেশে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। শেরপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। এসব এলাকার মানুষ বলছেন, ১৯৮৮ সালের পর এমন ভয়াবহ বন্যা তারা আর দেখেনি। পানিতে ভেসে গেছে ফসলের মাঠ, সবজি খেত ও মাছের খামার। সড়ক ও রেলপথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিন দিনে বন্যার পানিতে ডুবে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতিতে ছয়জন এবং ময়মনসিংহের ফুলপুরে একজন মারা গেছেন। এই হলো বন্যার একটি অঞ্চলের চিত্র।

সাম্প্রতিক বন্যার একটি সামগ্রিক চিত্র পাওয়া যায় সিপিডির প্রতিবেদনে। সংস্থাটি বলছে, দেশের ১০ জেলায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতির পরিমাণ দেশের জাতীয় বাজেটের ১ দশমিক ৮১ শতাংশ। উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রবল বৃষ্টি ও উজানের ঢলে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে দেশের ১০ জেলা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছিল। নজিরবিহীন এ বন্যায় ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, উজানের দেশগুলোকে আগে থেকে বৃষ্টিপাত, স্ট্রাকচারের অবস্থা ও পানি ছাড়ার সময় জানাতে হবে। আমাদের কথা হলো, প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা তো সব সময়ের আশঙ্কা। এজন্য দরকার সর্বসময়ের প্রস্তুতি। উজানের দেশের সতর্কবার্তার জন্য কেন অপেক্ষা করতে হবে? আমাদের আবহাওয়াবিদরা কী করেন? উপরন্তু আমাদের ধরে নিতে হবে, উজানের দেশ আগাম সতর্কবার্তা ছাড়াই যে কোনো সময় পানি ছেড়ে দিতে পারে। আমাদের দরকার সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি।

জানা গেল, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক। এখন দুর্গতদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। এগিয়ে নিতে হবে তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। সবচেয়ে জরুরি, দুর্গত কৃষক যাতে তাদের কৃষিকাজ চালাতে পারেন, সেজন্য তাদের দিতে হবে ব্যাংক ঋণ সুবিধা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামতের কাজটিও সম্পন্ন করতে হবে দ্রুত। অন্তর্বর্তী সরকারকে এ দিকটায় বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি আমরা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম