Logo
Logo
×

অর্থনীতি

বিদেশি সংস্থাগুলোকে দেশের ঋণমান পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৯ এএম

বিদেশি সংস্থাগুলোকে দেশের ঋণমান পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের

ঋণমান নির্ণয়কারী কয়েকটি প্রধান বহুজাতিক সংস্থা সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রেটিং বা মান একাধিকবার কমিয়েছে। এসব সংস্থাকে দেশের ক্রেডিট রেটিং তথা ঋণমান পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

সোমবার কয়েকটি রেটিং এজেন্সির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে রেটিং এজেন্সিগুলোর কাছে বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন সূচকের বর্তমান অগ্রগতি নিয়ে রেটিং এজেন্সিগুলো সন্তুষ্ট। তাদের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে রেটিংয়ের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।’

আরিফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবে। তখন আমরা বৈদেশিক ঋণ বা সহায়তা পাব না। যেটুকু সময় আছে, এর মধ্যে যেন তা থেকে বঞ্চিত হতে না হয়, সেজন্য রেটিং এজেন্সিগুলোকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে।’

২০২৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের ঋণমান কমায় ঋণমান যাচাইকারী কোম্পানি এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ঋণমান ‘বিবি মাইনাস’ থেকে কমিয়ে ‘বি প্লাস’ করেছে। এর আগে সর্বশেষ যে প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ঋণমানের অবনমন করেছিল, সেটি হলো ফিচ রেটিংস। গত বছরের মে মাসের শেষ দিকে তারা আট মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দেয়। তখন প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুয়ার ডিফল্ট রেটিং (আইডিআর) ‘বিবি মাইনাস’ থেকে ‘বি প্লাস’ করে, যদিও দেশের অর্থনীতি-সম্পর্কিত পূর্বাভাস স্থিতিশীল রাখে তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মূল্যস্ফীতি, ডলারের বিনিময় হার, নতুন টাকা ও দুর্বল ব্যাংকগুলো নিয়েও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনো নতুন নোট ছাপানো হয়নি। একটি ডিজাইনের নোট ছাপাতে ন্যূনতম ১৮ মাস সময় লাগে। বাংলাদেশ ব্যাংক একসঙ্গে ৯ ধরনের নোট ছাপানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এত নোট ছাপানোর সময় ও সক্ষমতা লাগে, যেটা আমাদের নেই। তবুও মানুষের আবেগ বিবেচনায় নিয়ে পুরোনো নোট বন্ধ রেখে নতুন নোট ছাপানোর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তাই বাজারে যেসব নোট রয়েছে, সেগুলো নিয়েই দেশের মানুষকে আপাতত চলতে হবে। মে মাসেই বাজারে নতুন নোট আসবে।

মুখপাত্র আরিফ হোসেন আরও বলেন, দুর্বল ব্যাংকের অনিয়মের কারণে তারল্য সংকট হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে দেওয়া হয়। এসব ব্যাংকের প্রকৃত চিত্র দেখার জন্য টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্ট করা হয়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অনুযায়ী কমানো যায়নি। তবে কিছুটা কমেছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের বদৌলতে ডলার রেট (বিনিময় হার) কমেছে। এটা ভালো দিক।

বাংলাদেশ ব্যাংক

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম