
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০২ পিএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম

ফাইল ছবি
আরও পড়ুন
দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান কমছে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
সংস্থাটি মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কম প্রাধান্য দিচ্ছে জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে। কিন্তু এভাবে কতদিন প্রবৃদ্ধির দিকে কম নজর থাকবে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি রাজস্ব আদায় কম আহরণ নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
ধারাবাহিক পর্যালোচনার অংশ হিসাবে ঢাকায় সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল সোমবার সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছে অর্থ বিভাগের সঙ্গে। একইদিন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও বৈঠক করে তারা।
বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের বিষয়ে আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে রোববার সংস্থাটির একটি মিশন ঢাকায় এসেছে। তারা ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করবেন।
অর্থ বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে সংস্থাটির প্রতিনিধিদল বলেছে, সরকার চলতি অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে তার চেয়ে অর্জন কম হবে। তাদের হিসাবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনসহ নানা কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৪ শতাংশ থেকে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।
ওই বৈঠকে রাজস্ব আদায় কম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সংস্থার প্রতিনিধির মতে, মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ছাড় দিচ্ছে সরকার, এটি ঠিক আছে মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু সেটা কতদিনের জন্য। কারণ অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য জিডিপির প্রবৃদ্ধির প্রয়োজন আছে।
প্রবৃদ্ধি না হলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না। তারা আরও বলেন, এখন প্রবৃদ্ধি কম হওয়ায় রাজস্ব আহরণের ঘাটতি সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু যখন প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে তখন রাজস্ব কম হলে সমস্যা সৃষ্টি হবে।
অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই মুহূর্তে প্রবৃদ্ধি যতটুকু হয় সে ব্যাপারে তেমন কোনো জোর দেওয়া হচ্ছে না। এর বাইরে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
সরকারের প্রধান লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা। এরপরও আইএমএফ জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে সংকোচনমূলক পূর্বাভাস দিয়েছে, সেটি মানতে নারাজ অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আইএমএফ’র প্রধান উদ্বেগের বিষয় বাংলাদেশের আর্থিক খাত নিয়ে। বিশেষ করে ব্যাংক খাতের নানা সমস্যা তুলে ধরে তা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। এক্ষেত্রে সমস্যাযুক্ত ব্যাংকগুলোর সমস্যা দূর করা, ব্যাংকের আইন ও বিধান সংশোধনের কার্যক্রমকে দ্রুত বাস্তবে রূপ দেওয়ার প্রতি জোর দিয়েছে আইএমএফ। তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে কিছুটা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রতিনিধিদলটির সদস্যরা।