
রোজার দুই দিন আগেই বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ইফতারে শরবত তৈরিতে ব্যবহুত লেবু হালিপ্রতি সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে চাল, আদা-রসুন ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।
এতে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতাকে এখন থেকেই বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাত দিন আগেও প্রতি হালি লেবু ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বৃহস্পতিবার খুচরা বাজারে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রতি পিস লেবুর দাম হয় ১৫-২০ টাকা। একই লেবু পাড়া-মহলার সবজির দোকানে হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০০ টাকায়।
নয়াবাজারে সবজি কিনতে আসা আল আমিন বলেন, রোজা উপলক্ষ্যে লেবু কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু দোকানে দাম জানতে চাওয়ার পর আর কিনতে ইচ্ছা করছে না। হালি চাচ্ছে ৮০ টাকা। রোজা ঘিরে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। নজরদারির অভাবেই এমন পরিস্থিতি হয়েছে।
একই বাজারের বিক্রেতা নিজামুল হক বলেন, পাইকারি বাজার থেকে আকার ও মানভেদে ৪০-৬০ টাকা দিয়ে হালি কিনেছি। যার কারণে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হয়। বিক্রিও করতে হয় বাড়তি দামেই।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে সরু ও মাঝারি আকারের চালের দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৪-৮৮ টাকা। যা সাত দিন আগে ৭২-৮৬ টাকা ছিল। মাঝারি আকারের মধ্যে পাইজাম চাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৬ টাকা। যা সাত দিন আগে ৫৮-৬৪ টাকা ছিল। এছাড়া প্রতিকেজি মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা।
মালিবাগ কাঁচাবাজারের খালেক রাইস এজেন্সির মালিক দিদার হোসেন বলেন, হঠাৎ করে আড়তে দাম বাড়ানোর কারণে খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২ টাকা চালের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও মিল থেকে দাম বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে ক্রেতার বাড়তি দরে চাল কিনতে হচ্ছে।
রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা। যা সাত দিন আগে ১৯০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা। যা গত সপ্তাহের তুলানায় ২০ টাকা বেশি। এছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা। আর খাসির মাংস প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১২৫০ টাকা।
খুচরা বাজারে প্রতিকেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৫০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ২১০-২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি দেশি আদা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০-২৫০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মসলাপণ্যের মধ্যে প্রতিকেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা। যা সাত দিন আগে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সঙ্গে প্রতিকেজি এলাচ ৪৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৪৬০০ টাকা।