অনলাইনে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক হচ্ছে: এনবিআর চেয়ারম্যান

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৯ পিএম

ফাইল ছবি
আগামী জুলাই থেকে সব শ্রেণীর করদাতার অনলাইনে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। এ জন্য অনলাইনে রিটার্ন জমার সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁও রাজস্ব
ভবনে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। অনুষ্ঠানে অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে অথরাইজড ইকোনমিক
অপারেটর (এইও) সংযোজন, কাস্টমস স্ট্যাটেজিক প্লান ২০২৪-২৮ প্রণয়ন এবং ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট
হাব ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের
(বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চেৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। অনুষ্ঠানে ৯টি প্রতিষ্ঠানের
হাতে এইও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অনলাইন রিটার্ন জমায় কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে করদাতা তা শোনা হবে। সমস্যাগুলো সমাধানের চষ্টো করব, যাতে আগামী পহেলা জুলাই থেকে অনলাইন রিটার্নকে পুরোপুরি বাধ্যতামূলক করতে পারি। একইভাবে করপোরেট ট্যাক্স রিটার্নটাও অনলাইনে জমা নেওয়ার কাজ শুরু করেছি। তিনি আরও বলেন, যারা নিয়ম মেনে কর দিচ্ছেন আগামী বাজেটে তাদের কিছু সুবিধা দেওয়া হবে। বাজেটে একটা বার্তা দেওয়া হবে। এনবিআর যেই জায়গাগুলোতে একটু বেশি কড়াকড়ি করেছে, সেগুলো সহজীকরণের উদ্যোগ থাকবে। কমপ্লায়েন্ট করদাতারা যাতে হয়রানির স্বীকার না হন সেজন্য অডিট সিলেকশন পদ্ধতি অটোমেশন করা হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চেৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, অর্থনীতিতে ইতিবাচক ধারায় আসতে শুরু করেছে। গত ৬ মাসে রপ্তানি ১৩ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারিতে ৭ শতাংশ কনটেইনার হ্যান্ডেলিং বেড়েছে। সামনে এগিয়ে যেতে নেতিবাচক বিষয় সরিয়ে ফেলতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন
এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস নিরীক্ষা, আধুনিকায়ন ও আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য) কাজী মোস্তাফিজুর
রহমান, সদস্য (রপ্তানি বন্ড ও আইটি) মোয়াজ্জেম হোসেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি)
কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির
(ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার।
স্বাগত বক্তব্যে কাজী মোস্তাফিজুর
রহমান অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জানান, অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর
হিসাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো অতি দ্রুত পণ্য খালাসে এবং রপ্তানি পণ্যের
শুল্কায়নে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। প্রতিষ্ঠানগুলো ২০ শতাংশ পণ্য চালান স্বয়ংক্রিয়ভাবে
নিজেরাই শুল্কায়ন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কোনোরূপ হস্তক্ষেপ
থাকবে না। সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব শুল্কায়নের মাধ্যমে শুল্ক-করাদি পরিশোধ
করে সরাসরি জাহাজ থেকে আমদানিকৃত পণ্য নিজেদের গুদামে নিতে পারবেন। এছাড়া সনদপ্রাপ্ত
প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য চালানের ৫০ শতাংশের কম পণ্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় কায়িক
পরীক্ষা করা হবে। এছাড়াও যে সব পণ্যের রাসায়নিক পরীক্ষা প্রয়োজন, সে সব পণ্যের রাসায়নিক
পরীক্ষা ছাড়াই সাময়িক শুল্কায়ন করে খালাস করতে পারবেন।