বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের সফর শেষ
সংস্কারে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস বিশ্বব্যাংকের

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম

চার দিনের ঢাকা সফর শেষ করেছেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার। বৃহস্পতিবার এই সফর শেষ করেন তিনি।
এসময় দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সফরকালে রাইজার অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশের জনগণের প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং উন্নত জনসেবার ভিত্তি তৈরিতে অব্যাহত সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে রাইজার বলেন, বাংলাদেশে চলমান এবং পরিকল্পিত বিশ্বব্যাংকের সহায়তা সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি এই রাজনৈতিক রূপান্তরকে শাসনব্যবস্থা এবং স্বচ্ছতার উন্নতির জন্য ব্যবহারের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন, যা একটি ন্যায্য বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করতে পারে। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংক সরকারকে বিভিন্ন সংস্কারে সহায়তা করছে।
ব্যাংক খাত সংস্কার, এবং সম্পদ পুনরুদ্ধার, কর নীতি এবং রাজস্ব সংগ্রহ, ক্রয় এবং নিরীক্ষণ এবং জাতীয় পরিসংখ্যানের মান এবং স্বাধীনতা জোরদার করা সংক্রান্ত সংস্কারগুলো মধ্যমেয়াদে সমান সুযোগ তৈরি করবে। এছাড়া ব্যবসা ও জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের বন্যা থেকে পুনরুদ্ধার, জ্বালানি খাতে চাপ কমাতে, একটি আধুনিক ও সুনির্দিষ্ট সামাজিক সহায়তা ব্যবস্থা তৈরি করতে এবং ঢাকায় ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংকের নতুন ঋণ প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ঢাকা সফরকালে মার্টিন রাইজার অর্থ উপদেষ্টা, জ্বালানি উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, এনবিআর চেয়ারম্যান এবং সুশীল সমাজ ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকার ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।