বেসিক ব্যাংকের দুই হাজার ২৬৫ কোটি জালিয়াতি, ১৪ মামলায় অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে বেসিক ব্যাংকের দুই হাজার ২৬৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৫৯টি মামলা করে দুদক। তার মধ্যে ১৪টি মামলায় অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম স্বঃপ্রণোদিত’ হয়ে এ আদেশ দেন বলে আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজিব দে জানান।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ১৪টি মামলার একটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে এবং বাকি ১৩টি মামলা অভিযোগ গঠনের শুনানি পর্যায়ে ছিল। এসব মামলার আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুসহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। মামলাগুলো আদালত পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দুদককে।
এসব মামলার কোনোটিতেই আসামি ছিলেন না ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু। তবে অভিযোগ ছিল, বেসিক ব্যাংকের মত ভালো মানের একটি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংককে নাজুক অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার হোতা ছিলেন তিনি।
প্রায় ৭ বছর তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের জুনে ৫৯ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় দুদক। এর মধ্যে ৫৮টিতে বাচ্চুর নাম আসে। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামির তালিকায় আছেন ৪৬ ব্যাংক কর্মকর্তা ও ১০১ জন গ্রাহক। তবে এসব মামলার কোনোটিতে পরিচালনা পর্ষদের কাউকে আসামি করেনি দুদক।
গত বছরের ৫ নভেম্বর বেসিক ব্যাংকের প্রায় ৯৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু ও তার পরিবারের চার সদস্যকে আগামী ২ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন।