Logo
Logo
×

অর্থনীতি

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা

সুযোগ বুঝে ভাড়া বৃদ্ধি বাড়ির মালিকদের

Icon

রাসেল মাহমুদ, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম

সুযোগ বুঝে ভাড়া বৃদ্ধি বাড়ির মালিকদের

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আশপাশে বসতবাড়ি কম থাকায় চাহিদামতো বাসাভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোথাও পাওয়া গেলেও বাড়ির মালিকরা আকাশচুম্বী ভাড়া চাচ্ছেন। 

এতে আবাসন সংকটে পড়েছেন মেলায় অংশ নেওয়া স্টল ও প্যাভিলিয়নের মালিক-কর্মচারীরা। ফলে অনেকেই মেলা শেষে বাধ্য হয়ে রাতে ঢাকায় ফিরছেন। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাণিজ্যমেলার পার্শ্ববর্তী গ্রাম ব্রাহ্মণখালী, শিমুলিয়া, পিতলগঞ্জ, ফুলবাড়িয়া, দক্ষিণবাগ, হিরনাল, কালনী, ইউসুফগঞ্জ, শিমুলিয়া, গুতিয়াবো, বেইলারটেক, গোয়ালপাড়া, কেয়ারিয়া, হারিন্দা, বাঘবেড়সহ আশপাশের এলাকায় স্টল মালিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চড়া মূল্যে ভাড়ায় থাকতে হচ্ছে। 

সুযোগ পেয়ে বাড়ির মালিকরা বেশি ভাড়া আদায় করছেন। মেলার আগে যে ফ্ল্যাটের ভাড়া ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা ছিল, সেই ফ্ল্যাট এখন ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। 

এ বিষয়ে হোমটেক্সের ম্যানেজার নাহিদুর রহমান খান বলেন, ঢাকা থেকে ভোরে মেলায় আসা ও রাতে বাসায় ফিরে যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই ভাড়া বেশি হলেও মধুখালী এলাকায় তাদের প্যাভিলিয়নের অনেকেই বাসাভাড়া নিয়েছেন।

হাতিল ফার্নিচারের সহকারী ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম বলেন, পূর্বাচল উপশহরের ঘরবাড়ি নির্মাণ হয়ে গেলে এ সংকট আর থাকবে না।

মিয়াকো কোং ম্যানেজার মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ায় প্যাভিলিয়নের কর্মচারীদের অনেকেই এখন ঢাকায় বসবাস করলেও মেলায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করতে পারেন।

ডেজনী এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহিন আহম্মেদ বলেন, শিমুলিয়া এলাকায় দুই কক্ষের একটি ফ্ল্যাট তিনি ৪৫ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছেন। এ বছর স্টল, মিনি প্যাভিলিয়ন ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ মূল্য অনেক বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে কর্মচারীদের বেতনও। সব খরচের পর মেলা করে আর্থিকভাবে কতটা লাভবান হওয়া যাবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

গুতিয়াবো এলাকার বাড়ির মালিক ডা. মোস্তফা যুগান্তরকে বলেন, সারা বছর আমাদের ফ্ল্যাট খালি থাকে। সারা বছরের বাড়ির খরচ মেটানোর জন্যই মেলার সময় বাড়িভাড়া কিছুটা বেশি নেওয়া হয়। বাড়ি ভাড়া বেশি নিলেও ভাড়াটিয়াদের সব সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব বিবেক সরকার বলেন, ৩শ ফুট সড়ক নামে পরিচিত ঢাকা-কুড়িল-কাঞ্চন সড়কের নির্মাণকাজ শেষ করা হয়েছে। সৌন্দর্য ও মনোমুগ্ধকর এ সড়কে চলাচল এখন আরামদায়ক। মাত্র ১৫ মিনিটে ঢাকার কুড়িল থেকে বাণিজ্যমেলায় আসা যায়। তিনি বলেন, পূর্বাচল উপশহর এখনো বসবাসের যোগ্য না হওয়ায় একশ্রেণির লোক সুবিধা নিচ্ছে। তবে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মেলায় যমুনার প্যাভিলিয়নে ক্রেতার ভিড় : এদিকে সোমবার বাণিজ্যমেলায় যমুনার প্যাভিলিয়নে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইল লিমিটেডের ম্যানেজার রাজিব সাহা বলেন, বিগত বছরের মতো এবারও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী মেলায় আমরা উন্নতমানের পণ্যসামগ্রী নিয়ে এসেছি। এর মধ্যে 

উল্লেখযোগ্য হলো-রাইসকুকার, রেফ্রিজারেশন, মাইক্রোওভেন, ইলেক্ট্রনিক ওভেন, গ্যাস বার্নার, কারিকুকার, ইনফারেন্সকুকার, রুমহিটার, ভেন্ডার, মিকসারভেন্ডার ও জুসার। এসব গৃহস্থালি পণ্য আমরা বিশেষ ছাড়ে বিক্রি করছি। 

তিনি আরও বলেন, এছাড়া যমুনা ইলেকট্রনিক্সের রেফ্রিজারেটর (ডাবল ডোর ও সিঙ্গেল ডোর) বিশেষ মূল্যে দেওয়া হচ্ছে। স্মার্ট টিভি ও গুগল টিভিসহ সব পণ্য যমুনার নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে তৈরির কারণে সহজে ও কম দামে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি আমরা।

মুড়াপাড়া এলাকা থেকে মেলায় আসা গৃহবধূ মাসুদ বেগম বলেন, যমুনার গৃহস্থালি পণ্য সব সময়ই কেনা হয়। এগুলো খুবই টেকসই ও মজবুত।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম