শীত মৌসুমেও সবজির দামে ক্রেতার অস্বস্তি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পিএম

শীত মৌসুমে বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এতে কমতে শুরু করেছে দাম। তবে এ রাজধানীর খুচরা বাজার দু-একটি সবজির দাম কেজিপ্রতি ৩০ টাকা হলেও বেশিরভাগ সবজি ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি কিছু সবজির দাম এখনো ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। এতে সবজি কিনতে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছে ক্রেতা। তবে সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। কেজিপ্রতি করলা ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি পিস ফুলকপি ৩০-৪০ ও বাঁধাকপি ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর প্রতি কেজি নতুন টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, মুলা ৩০ টাকায়, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, গাজরের কেজি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬৫-৭০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৫০ টাকা, পটোল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, আর কাঁচা টমেটো বাজারভেদে প্রতি কেজি ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, শিম (বিচিওয়ালা) প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শিম (বিচি ছাড়া) প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা এবং ঢ্যাঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নয়াবাজারে সবজি কিনতে আসা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, শীত এলে সবজির দাম অনেক কম থাকে। গত সপ্তাহের তুলনায় মূল্য কিছুটা কমলেও এখনো বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সরবরাহ থাকলেও বিক্রেতারা বাড়তি দর হাঁকাচ্ছেন।
একই বাজারে সবজি বিক্রেতা মো. আমিন বলেন, পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সবজি আসতে শুরু করেছে। দিন যত যাবে সবজির দাম তত কমবে। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি আড়তে দাম এখনো বেশি। যে কারণে খুচরায় বিক্রিও করতে হচ্ছে বাড়তি দামে।
এছাড়া রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মান ও আকারভেদে ৮০-১২০ টাকা। যা একদিন আগেও ৯০-১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু ৫ টাকা কমে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাওরান বাজারের বিক্রেতা সোনাই আলী বলেন, নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজেরও জোগান বেড়েছে। যে কারণে দামও কমতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকায় নেমে আসবে।
অন্যদিকে খুচরা বাজারে ফার্মের মুরগি প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা। যা ৭ দিন আগেও ৪৮-৫০ টাকা ছিল। এছাড়া প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকা। তবে মালিবাগ কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি ২১০ টাকা পর্যন্ত ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতে দেখা গেছে। সঙ্গে প্রতি পিস কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায়। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা ও খাসির মাংস প্রতি কেজি ১১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৬০ টাকা, কাতল ৩৬০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা, চিংড়ি (আকার অনুযায়ী) ৭৫০-৮০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৪০ টাকা, টেংরা ৭০০ টাকা, কই মাছ প্রতি কেজি ৩০০-৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ২৮০-৩০০ টাকা, চাপিলা মাছ প্রতি কেজি ৫০০-৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।