সিটি ব্যাংক কর্মীদের বেতন ভাতা বাড়ল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম
বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক সব স্তরের কর্মীদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। চলমান বাড়তি মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে বেতন বাড়ানো হয়েছে। ব্যাংকটির কর্মীদের বিভিন্ন স্তরে বেতন বাড়ছে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
নতুন বেতন কাঠামো গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়েছে। ফলে সিটি ব্যাংকের
কর্মীরা গত নভেম্বর মাসের বেতনের বাড়তি অংশ চলতি ডিসেম্বরে পাবেন। মঙ্গলবার এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে সিটি ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশের বাজারে গত আড়াই বছরে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামই বেড়েছে।
এতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। গত নভেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক
৩৮ শতাংশ। কিন্তু পণ্যের দাম বাড়লেও সে তুলনায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন
বাড়েনি। ফলে অনেক কর্মীই উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে ভোগছেন। এ অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে কর্মীদের
বেতন বাড়িয়েছে সিটি ব্যাংক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে সিটি ব্যাংক
কর্মীদের জীবনযাত্রা সহজ করতে বেতন কাঠামো পুনর্গঠন করেছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ
২০২৪ সালের জন্য বার্ষিক বেতন ১৬২ কোটি টাকা বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে। এর সঙ্গে ২০২৫
সালের বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) ও বোনাস প্রভৃতি যোগ করলে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ কর্মীদের
বার্ষিক বেতন বাবদ ভাতা খাতে ব্যয় বাড়বে ৩০০ কোটি টাকা। ফলে আগামী বছরই সিটি ব্যাংকের
কর্মীদের মোট বেতন বছরে ১ হাজার ২১০ কোটি টাকায় পৌঁছাবে।
ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা সহকারী কর্মকর্তা থেকে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ
ভাইস প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত সব পদে বেতন বেড়েছে সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৫০
শতাংশ পর্যন্ত। গড় করলে সার্বিকভাবে বেতন বৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ২৩ শতাংশ। ব্যাংকের সাপোর্ট
স্টাফ, আউটসোর্সিং স্টাফ ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মীদেরও বিশেষ বেতন বৃদ্ধির
আওতায় রাখা হয়েছে।
বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার বলেন, কর্মীরা
সিটি ব্যাংকের মেরুদণ্ড। বাজারের অবস্থার সঙ্গে বেতন-ভাতা সমন্বয় করে ব্যাংকটিকে দেশের
সেরা কর্মক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও)
মাসরুর আরেফিন বলেন, ব্যাংকের মুনাফা আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই মুনাফার একটি অংশ এখন কর্মীদের
বেতন ভাতা হিসেবে দেওয়া হচ্ছে।