ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন বয়সী নারী ও শিশুরা। সমাজের প্রভাবশালী, রাজনীতিবিদ, ডক্তার এমনকি স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধেও একের পর এক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে। 

স্কুলে ছাত্রীদের মোবাইলে অশালীন মেসেজ, কুপ্রস্তাব, বাজেভাবে স্পর্শ করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার পলাশিপাড়া থানার পলসন্ডা গার্লস হাইস্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের মোবাইলে খারাপ মেসেজ, খারাপ ছবি পাঠানোর পাশাপাশি বাজেভাবে ছাত্রীদের স্পর্শ করারও অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সামিউল হোসেন। তিনি স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নবম শ্রেণির ছাত্রীদের কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।

এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবকরা। শেষে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সোমবার স্কুলে গিয়ে অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি, অবিলম্বে শিক্ষককে শাস্তি দিতে হবে। এই কর্মকান্ডের কথা এতদিন কাউকে বলতে পারেনি ছাত্রীরা। তারা মুখ বুজে সহ্য করেছেন।

এক ছাত্রীর অভিভাবক জানান, তার মেয়ের মোবাইলে ওই শিক্ষক অশালীন মেসেজ পাঠাতেন। এমনকী খারাপ ছবিও পাঠাতেন। শুধু তাই নয়, সুযোগ পেলে মেয়েদের গায়ে হাত দিতেন। বাইরে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দিতেন।

অভিভাবকদের দাবি, এর আগেও সামিউলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছিল। তখনও প্রধান শিক্ষকের কাছে ছাত্রীরা অভিযোগ করেছিল। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুব্রত মুখোপাধ্যায় সামিউলকে সতর্ক করেছিলেন। তার পরেও একই কাণ্ড করেছেন ওই শিক্ষক।

প্রধান শিক্ষক বলেছেন, সামিউলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার পাশাপাশি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশকে এখনও কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। আমরা জানাব, পুলিশ বলছে ব্যবস্থা নেবে।