
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৬ এএম
বাজুসের কমিটি ভেঙে প্রশাসক চান স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম

বাজুস আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) বর্তমান কমিটি ভেঙে প্রশাসক বসানোর দাবি জানিয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। বুধবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে বাজুস আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। তারা সংগঠনের বর্তমান সভাপতি সায়েম সোবহান আনভিরের বিরুদ্ধে বাজুসকে টানা ৪ বছর জিম্মি করে রাখার অভিযোগ করেন। তারা বলেন, বর্তমান সভাপতি ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন এবং ভিন্নমত দমনের মতো অপকর্ম করেছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বাজুসের ২০১৯-২১ মেয়াদের সভাপতি দাবিদার এনামুল হক খান (দোলন) এবং সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। সংবাদ সম্মেলনে অন্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, জুয়েলারি শিল্প দেশের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। কিন্তু অশুভ শক্তির কারণে সে সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ২০১৯-২০২১ মেয়াদে নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের চায়ের দাওয়াত দিয়ে জিম্মি করেন সায়েম সোবহান আনভির। এরপর অন্য প্রার্থীদের বাজুসের সভাপতি পদে নির্বাচন না করা ও তাকে সভাপতি করার জন্য চাপ দেন। গঠনতন্ত্র ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে আনভিরের আজ্ঞাবহ একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিজ বাসভবনকে নির্বাচন কার্যালয় বানান।
‘পৃথিবীতে এস আলমের মতো কেউ ব্যাংক লুট করেনি’
সাধারণ প্রার্থীদের নমিনেশন কেনার সুযোগ না দিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম আনভির নিজেকে সভাপতি ঘোষণা করেন। বক্তারা বলেন, সভাপতি হওয়ার পর সদস্যদের চাঁদা ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা করা হয়। নতুন সদস্যদের ভর্তি ও সার্টিফিকেট বাবদ ১০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়। আবার অযোগ্যদের টাকার বিনিময়ে সদস্যপদ এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করেছে। এসব কারণে বর্তমানে জুয়েলারি শিল্পকে অশুভ চক্রের হাত থেকে মুক্ত করার সময় এসেছে।
তারা বলেন, ২০২১-২৩ মেয়াদে নির্বাচনে সাধারণ প্রার্থীরা যাতে অংশ নিতে না পারেন সেজন্য পকেট নির্বাচন কমিশন বানানো হয়েছে। সেখানে সাধারণ সদস্য পদের জন্য ৫ লাখ, কোষাধ্যক্ষ ৩০ লাখ, সাধারণ সম্পাদক ১ কোটি এবং সভাপতি পদের জন্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মনোনয়ন ফি ধার্য করা হয়।
এরপরও নিজ বাসভবনকে নির্বাচন কার্যালয় বানিয়ে, সাধারণ প্রার্থীদের নমিনেশন কেনার সুযোগ বন্ধ করে দেন। বৃহৎ বাণিজ্য সংগঠনের সভাপতি হওয়া সত্তে¡ও এক বছরে তিনি কোনো কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে অংশ নেননি। সংগঠনের পক্ষে সরকারের কোনো মন্ত্রণালয় বা সংস্থার সঙ্গে মিটিংয়েও যাননি। সাধারণ জুয়েলারি ব্যবসায়ী ৪ বছরে তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।